সেন্টমার্টিনে নিখোঁজ চার শিক্ষার্থীরই মরদেহ উদ্ধার
টেকনাফের সেন্টমার্টিনে সাগরে গোসল করতে নেমে আহসান উল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ৪ শিক্ষার্থীরই মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনীর সদস্যরা।
বুধবার সকাল ৯টার দিকে সেন্টমার্টিনের উত্তর সৈকত থেকে সাব্বির হাসান এবং সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিম সৈকত থেকে শাহরিয়ার কবির নোমানের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এরপর বেলা ১১টার দিকে একই এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয় উদয় মাহমুদ ও গোলাম রহিম বাপ্পীর মৃতদেহ।
সোমবার দুপুর দেড়টার দিকে সেন্টমার্টিন উত্তর সৈকতে সবচেয়ে বিপজ্জনক স্থানটিতে গোসল করতে নামলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঢাকার আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ ছাত্রের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন- দিনাজপুরের মানফেজুল ইসলাম ইভান (২৫) এবং ঢাকার বিক্রমপুরের গোলাম ফারুকের ছেলে সাদ্দাম হোসেন অঙ্কুর।
ঢাকা আহছান উল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সাইন্স বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সৌমিক জানান, ৩৪ জন শিক্ষার্থীর একটি দল সেন্টমার্টিন ভ্রমণে আসেন। তাদের মধ্যে ১০ জন সেন্টমার্টিনের উত্তর সৈকত দিয়ে সাগরে গোসল করতে নামলে ভাটার স্রোতে ভেসে যান।
পরে বাকিদের চিৎকারে কোস্টগার্ড ও স্থানীয়রা মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধারের পর স্পিডবোট যোগে টেকনাফ স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে মানফেজুল ইসলাম ইভান ও সাদ্দাম হোসেন অঙ্কুরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।
মুমূর্ষু ৪ শিক্ষার্থী ঢাকা মিরপুরের মোক্তার হোসেনের ছেলে আসিফ (২৫), হাবিব উল্লাহর ছেলে ফয়সার হাবিব (২৪), কুমিল্লার সামশুল হকের ছেলে ফারহানুল হক (২৪) ও চুয়াডাঙ্গার হেলাল উদ্দিনের ছেলে ইফতেখার মাহমুদকে (২৫) কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।