আয়-ব্যয়ে প্রথম আওয়ামী লীগ, দ্বিতীয় জামায়াত
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আয়-ব্যয়ে শীর্ষে স্থানে রয়েছে দেশের ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। আর জামায়াতে ইসলামী রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থানে।
বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলো বুধবার তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়ার পর এ তথ্য উঠে এসেছে।
আওয়ামী লীগের শরিক দল জাতীয় পার্টি বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের দিক থেকে তৃতীয় স্থান রয়েছে। অন্যদিকে, দেশের প্রধান বিরোধী দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) অবস্থান করছে চতুর্থ স্থানে।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, মোট ৩৯টি নিবন্ধনকৃত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল তাদের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে। বুধবারই জমা দেয়ার শেষ দিন ছিল।
শুধু বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি স্বেচ্ছায় তাদের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব দিয়েছে। আওয়ামী লীগ তাদের আয় ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব দিতে অস্বীকার করেছে। তারা শুধু বলেছে যে, তাদেরে আয়-ব্যয় আগের চেয়ে বেড়েছে।
নির্বাচন কমিশনের একজন উপ-সচিব জানান, ২০১২ সালে আওয়ামী লীগ তাদের আয় দেখিয়েছে ১০ কোটি ১০ লাখ টাকা। আর ব্যয় দেখিয়েছে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, দলটি বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে অবস্থিত তাদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পাশে অবস্থিত একখণ্ড জমি কিনতেই শুধু ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা ব্যয় দেখিয়েছে।
ওই উপ-সচিব আরো জানান, জামায়াতের প্রদর্শিত আয় ছিল ৬ কোটি ৪ লাখ ২১ হাজার ৬২০ টাকা। আর তাদের ব্যয় ছিল ৭ কোটি ৪৩ লাখ ৫৯৫ টাকা।
বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত বছর বিএনপির ব্যয় ছিল ২ কোটি ২৬ লাখ ৯৩ হাজার ১৪৩ টাকা। অন্যদিকে, তাদের আয় ছিল ১ কোটি ৭৯ লাখ ১২ হাজার ২৩১ টাকা।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য তাজুল ইসলাম জানান, ২০১২ সালে জাতীয় পার্টির আয় ছিল ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর ব্যয় ছিল ৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা।
বেশিরভাগ দলগুলোই তাদের আয়ের উৎস হিসেবে সদস্য ফি, অনুদান এবং কুপন, পুস্তিকা ও বিভিন্ন সাময়িকী বিক্রির কথা উল্লেখ করেছে।
এর আগের বছর আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামী প্রত্যেকেই তাদের আয় দেখিয়েছিল প্রায় ৫ কোটি টাকা করে।
২০০৮ সালের রাজনৈতিক দল নিবন্ধন আইন অনুযায়ী দেশের সব রাজনৈতিক দলকেই প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তাদের আগের বছরের আয়-ব্যয়ের হিসেব কোনো চার্টার্ড একাউন্ট ফার্ম কতৃক নিরীক্ষা করিয়ে তার ফলাফলের একটি কপি নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে।
নবম জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোকেই নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত হওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়। আর তাদের অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্যই তাদের বাৎসরিক আয়-ব্যয়ের হিসেবের একটি কপি নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া বাধ্যতামূলক করা হয়।