‘যুক্তরাজ্য বিএনপিকে হেয় প্রতিপন্ন করতে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে’
যুক্তরাজ্য বিএনপিকে দেশ-বিদেশে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। দলের সাংগঠনিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে মহলটি। সাংগঠনিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচার করছে।
যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে কয়েকটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের প্রতিবাদ জানাতে মঙ্গলবার পূর্ব লন্ডনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি শায়েস্তা চৌধুরী কুদ্দুসের সভাপতিত্বে সংবাদসম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক কয়ছর এম আহমদ।
সংবাদ সম্মেলনে কয়ছর আহমদ বলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত বেশ কয়েকটি সভায় দেশনায়ক তারেক রহমান দেশের বর্র্তমান পরিস্থিতি এবং তার রাজনৈতিক চিন্তা ভাবনা নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং তুলে ধরেন দেশের অজানা সঠিক ইতিহাস। তারেক রহমানের এইসব বক্তব্য দেশে এবং বিদেশে বিএনপি নেতা কর্মীদের এবং বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে উজ্জিবীত করেছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি সাংগঠনিক দক্ষতার মাধ্যমে এইসব অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন করায় একটি মহল আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
তিনি বলেন, গত ৮ এপ্রিল সুধীজনদের নিয়ে সেন্ট্রাল লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার হলে যুক্তরাজ্য বিএনপি এক সুধী সমাবেশের আয়োজন করে। সমাবেশে তারেক রহমান বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি তার বক্তব্যের সপক্ষে উপস্থিত সুধী মহলের কাছে কিছু ঐতিহাসিক প্রামান্যচিত্র তুলে ধরেন। তারেক রহমানের এই বক্তব্যে আজ ভীত ও আতংকিত হয়ে পড়েছে শেখ হাসিনার দুঃশাসনের মসনদ।
যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির অভিযোগে করা রিপোর্ট প্রসঙ্গে কয়ছর আহমদ বলেন, গত সপ্তাহে সাপ্তাহিক জনমত এবং সুরমা পত্রিকা সহ কয়েকটি সংবাদ পত্রে ক্রেডিট কার্ড জালিয়াতির বিষয়ে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ সংবাদে যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে যে সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
তিনি বলেন, বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে দলের মধ্যে ঘাপটি মেরে থাকা কিছু বিপথগামী সদস্য যারা আওয়ামী লীগের প্ররোচনায় যুক্তরাজ্য বিএনপিকে দুর্বল করার জন্য অপপ্রচার চালাচ্ছে। যুক্তরাজ্য বিএনপি প্রত্যয়ের সাথে বলতে পারে, এ রকম কোন জালিয়াতির ঘটনার সাথে যুক্তরাজ্য বিএনপি বা এর কোন নেতাকর্মী প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত নয়। সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এইসব অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
কার্ড জালিয়াতির অভিযোগ সুদূর প্রসারি ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা উল্লেখ করে কয়সর আহমদ বলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির রাজনীতির বাইরেও আমাদের একটি সামাজিক ও পেশাগত পরিচয় রয়েছে। আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই প্রবাসে বসবাস করে কমিউনিটিতে সম্মানের সাথে জীবনযাপন করছি। যুক্তরাজ্য বিএনপির কারো নামে কার্ড জালিয়াতির কোন অভিযোগ পুলিশের কাছে আছে বলে আমাদের জানা নেই। যুক্তরাজ্য বিএনপিকে দেশ বিদেশে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে। এছাড়া এইসব কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে যা প্রক্রিয়াধীন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বক্তব্য তথ্যভিত্তিক উল্লেখ করে কয়সর আহমদ বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান তথ্যভিত্তিক বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন যে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি এবং শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রথম অবৈধ প্রধামন্ত্রী ছিলেন। কিন্তু তার এই বক্তব্যের বিপক্ষে আওয়ামী লীগের নেত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ কোন রকমের তথ্য প্রমাণ ছাড়া নিজেদের মনগড়া কাহিনী বলে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার জনগণের টাকায় পরিচালিত সংসদে দাঁড়িয়ে অশ্লীল, কদর্য এবং রুচিহীন বক্তব্য দিচ্ছেন যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জার। এছাড়া অবৈধ সরকারের কোন কোন মন্ত্রী দেশনায়ক তারেক রহমানের বক্তব্য প্রচার করায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের সমালোচনা করে তা বন্ধের হুমকি দেন, যা আমাদেরকে তাদের নেতা শেখ মুজিবের সময়কার একদলীয় বাকশালের কথা মনে করিয়ে দেয়।
সরকারকে তাদের প্রমাণ উপস্থাপনের আহবান জানিয়ে কয়সর আহমদ বলেন, তারেক রহমানের তথ্যভিত্তিক ঐতিহাসিক প্রমাণের বিপক্ষে যদি কোন দালিলিক প্রমাণ থাকে তাহলে তা দেশবাসীর সামনে উপস্থাপন করুন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, যুক্তরাজ্য বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ চৌধুরী, সাবেক সাধারন সম্পাদক ব্যরিস্টার এম এ সালাম, সহ সভাপতি আবুল কালাম আজাদ , তৈমুজ আলী , মুজিবুর রহমান মুজিব , যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাজিম আহমদ চৌধুরী , ব্যারিস্টার আবু সায়েম , শহিদুল ইসলাম মামুন , সহ সাধারন সম্পাদক তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল, করিম উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সেলিম , অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান ময়না , সহ সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট খলিলুর রহমান , জাসাস ইউকে সভাপতি এম এ সালাম , সদস্য সচিব স্বেচ্ছা সেবক দল আবুল হোসেন , যুব দলের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল বাসিত বাদশা , প্রমুখ ।