লাইসেন্স ফি পাঁচ লাখ টাকা
‘অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনা নীতিমালা’র খসড়া চূড়ান্ত
এককালীন পাঁচ লাখ টাকায় লাইসেন্স নেওয়া ও প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা দিয়ে তা নবায়নের বিধান রেখে ‘অনলাইন গণমাধ্যম পরিচালনা নীতিমালা’র খসড়া চূড়ান্ত করা হয়েছে।
মোস্তফা জব্বারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের উপ-কমিটি সম্প্রতি প্রধান তথ্য কর্মকর্তার কাছে খসড়াটি জমা দিয়েছে।
মোস্তফা জব্বার বলেন, আমরা একটি প্রাথমিক খসড়া জমা দিয়েছি। আরেকটি কমিটি বসে নীতিমালা চূড়ান্ত করবে। খসড়ায় বিধি-বিধানের দিকগুলো তুলে ধরে একটি কমিশন গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এতে বলা হয়েছে, লাইসেন্স নেয়ার সময় ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে এককালীন পাঁচ লাখ টাকা তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে। প্রতি বছর ৫০ হাজার টাকা দিয়ে লাইসেন্স নবায়ন করা যাবে। তবে সরকার প্রয়োজনে লাইসেন্স নবায়ন ফি পুনঃনির্ধারণ করতে পারবে।
খসড়া বলা হয়েছে, অনলাইন গণমাধ্যম স্থাপনের জন্য বিজ্ঞপ্তি দেবে তথ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে অফেরতযোগ্য পাঁচ হাজার টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার জমা দিয়ে আবেদনপত্র সংগ্রহ করা যাবে।
আবেদনের সঙ্গে ফেরতযোগ্য আর্নেস্টমানি বাবদ দুই লাখ টাকার ব্যাংক ড্রাফট/পে-অর্ডার দিতে হবে। লাইসেন্স দেয়ার সময় আর্নেস্টমানির এই টাকা জামানত হিসেবে গণ্য হবে। লাইসেন্স পাওয়ার এক বছরের মধ্যে সম্প্রচার কার্ক্রম শুরু করতে হবে। অন্যথায় লাইসেন্স বাতিল বলে গণ্য হবে।
কোনো অনলাইন গণমাধ্যমের মালিক/পরিচালক সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে একাধিক অনলাইনের মালিক/পরিচালক হতে পারবেন বলেও খসড়ায় উল্লেখ রয়েছে।
সরকারের অনুমোদন ছাড়া লাইসেন্স বা শেয়ার সম্পূর্ণ বা আংশিক হস্তান্তর করা যাবে না উল্লেখ করে খসড়ায় বলা হয়েছে, নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে চুক্তি করে সরকারি কোষাগারে দুই লাখ টাকা ফি দিয়ে লাইসেন্স বা শেয়ার হস্তান্তর করা যাবে। লাইসেন্সধারী প্রতিষ্ঠানকে অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত বিজ্ঞাপন বাবদ প্রাপ্ত অর্থের দুই শতাংশ সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে।
অনলাইন গণমাধ্যমের সম্পাদকের শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম স্নাতক/সমমানের হতে হবে বাধ্যবাধকতা রেখে খসড়ায় বলা হয়, সম্পাদক হতে গেলে প্রথম শ্রেণির পত্রিকায় দুই বছরের কাজের অভিজ্ঞতাও থাকতে হবে।