অনুসন্ধানে ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ডলার
খোঁজ নেই ব্ল্যাকবক্সের
রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ ফ্লাইট এমইএইচ৩৭০ খুঁজে বের করার জন্য এরইমধ্যে সাগরের গভীরে পৌঁছানোর রেকর্ড সৃষ্টি করেছে অনুসন্ধানে নিয়োজিত মিনি সাবমেরিন। এ ছাড়া, মালয়েশিয়ার যাত্রীবাহী এ বিমান খুঁজে বের করার কাজে অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রেও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত অন্তত ১০ কোটি ডলার বা সাত কোটি ২০ লাখ ইউরো ব্যয় হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর আগে কোনো বিমান খুঁজে বের করার কাজে এতো অর্থ ব্যয় করা হয়নি।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি গত ৮ মার্চ ২৩৯ আরোহীসহ ওড়ার প্রায় এক ঘণ্টা পর রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর এ বিমানের খোঁজে কয়েকটি দেশ সম্মিলিতভাবে নজিরবিহীন অনুসন্ধান তৎপরতা শুরু করে। মহাসাগরের যে এলাকা থেকে বিমানটির ব্ল্যাকবক্স থেকে ভেসে আসা সংকেত পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে সে এলাকায় বর্তমানে মিনি সাবমেরিন দিয়ে অনুসন্ধান চলছে।
এদিকে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) চতুর্থ দফা অনুসন্ধান চালানোর সময়ে মার্কিন নৌ বাহিনীর ব্লু-ফিন-২১ নামের অটোনমাস আন্ডারওয়াটার ভেহিকেল বা এইউভি সাড়ে চার হাজার মিটারের চেয়ে গভীরে নেমেছিল। অনুসন্ধান তৎপরতার সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তারা আজ (শুক্রবার) বলেছেন, সাধারণভাবে যে সব অনুসন্ধান তৎপরতা চালানো হয় তার চেয়ে পানির অনেক বেশি গভীরে গিয়েছিল এ মিনি সাবমেরিন। এইউভি ৪,৬৯৫ মিটার গভীরে গিয়েছিল বলে জানান তারা। এদিকে এরই মধ্যে সাগরের তলে পঞ্চম দফা অনুসন্ধান শুরু করেছে মিনি সাবমেরিন। এ পর্যন্ত এ সাবমেরিন দিয়ে সাগরের তলদেশের ১১০ বর্গ কিলোমিটার এলাকায় অনুসন্ধান চালানো হয়েছে। তবে এখনো হতভাগ্য বিমানটির ব্ল্যাকবক্সের খোঁজ পাওয়া যায়নি।
বিমানটির যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন মালয়েশিয়া, চীন ও অস্ট্রেলিয়ার যাত্রী। এ অনুসন্ধান তৎপরতায় তারাই সবচেয়ে বেশি অর্থ ব্যয় করছে। ফ্রস্ট অ্যান্ড সুলিভান এশিয়া প্যাসিফিকের বিমান বিষয়ক বিশেষজ্ঞ রবিকুমার মাধবরাম বলেছেন, এ পর্যন্ত অনুসন্ধান তৎপরতায় ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ডলার বা ৭ কোটি ২০ লাখ ইউরো।
২০০৯ সালে আটলান্তিক মহাসাগরে বিধ্বস্ত এয়ার ফ্রান্সের ফ্লাইট৪৪৭ এর ব্ল্যাকবক্স খুঁজে বের করতে দু’বছর সময় লেগেছিল। ফ্রান্স, ব্রাজিল এবং আমেরিকা যৌথভাবে ওই অনুসন্ধান চালায় এবং তাতে ব্যয় হয় আট থেকে ১০ কোটি ডলার।