মিষ্টিমুখে আ.লীগের জামায়াত-বরণ
মিষ্টিমুখ করিয়ে ও ফুল দিয়ে জামায়াত-শিবিরের ৭০ কর্মীকে বরণ করে নিয়েছেন পাবনার ঈশ্বরদীর মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা। গত শুক্রবার রাতে মুলাডুলির বাঘহাচলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে তারা আওয়ামী লীগে যোগদান করেন। এ সময় ওয়ার্ড নেতাসহ বিএনপির তৃণমূলের কিছু কর্মীও আওয়ামী লীগে যোগ দেন।
ঈশ্বরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
মুলাডুলি ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মিজানুর রহমান জানান, জামায়াত-শিবিরের এসব সদস্য বিগত সময় ওই এলাকায় সরকারবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেন। তাদের আওয়ামী লীগে যোগদান করানোর জন্য তারা উদ্যোগ নেন। স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ করে তাদের আওয়ামী লীগের যোগদান করানো হয়। তিনি বলেন, ‘জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কর্মীরা এলাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ, মুক্তিযোদ্ধা ডিলু হাট পুনঃস্থাপন ও রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন দেখে ব্যাপক খুশি হয়ে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।
মুলাডুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল হোসেন জানান, জামায়াত-শিবিরের ৭০ ও বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের বেশ কিছু কর্মী আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার আগে তাদের প্রত্যেকের ছবি ও ঠিকানা সংগ্রহ করা হয়। পরে তারা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরম পূরণ করে দলে যোগদান করেন। যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মখলেছুর রহমান ও বিশেষ অতিথি কামাল হোসেন প্রত্যেককে রজনীগন্ধা ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানে তাদের মিষ্টিমুখ করানো হয়। আওয়ামী লীগের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তারা দলে যোগ দেয়ায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি তাদের ধন্যবাদ জানান এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজে সহযোগিতার আহ্বান জানান।
যোগাযোগ করা হলে মুলাডুলি ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি শাহীন হোসাইন বলেন, ‘যারা আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন, তারা জামায়াতের সক্রিয় কোনো নেতা-কর্মী নন। এছাড়া জামায়াতের নেতা-কর্মী কোনো দিনই আওয়ামী লীগে যোগ দেবেন না।’
মুলাডুলি ইউনিয়ন শাখার ছাত্রশিবিরের সভাপতি হুজ্জুতুল্লাহ বলেন, ‘শুনেছি আল-আমিন নামে এক শিবির কর্মীর হাত ধরে কয়েকজন আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। তারা শিবিরের কোনো সদস্য না।’