৫টি কারণে মাটিতে বসে খাওয়া স্বাস্থ্যকর
মানুষ একটা সময় মাটিতে পাটি পেতে বসেই খাবার খেতেন। এখনও গ্রামের মানুষ এভাবেই খায়। কিন্তু শহরের মানুষ চেয়ার-টেবিলে বসে খেতেই বেশি স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন। মজার ব্যাপার হলো অনেকেই জানেন না যে, নিচে বসে খাওয়া অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর। যেমন:
পরিপাকতন্ত্র উন্নত করতে সাহায্য করে
নিচে বসে খাওয়ার সময় সাধারণত আমরা পা ‘ক্রস’ করে অর্থাৎ আড়াআড়ি ভাজ করে বসি। এভাবে বসার নাম সুখাসন বা পদ্মাসনের অর্ধেক অংশ। এটা পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করতে সাহায্য করে। এছাড়া যারা প্লেট নিচে রেখে খান, তাদের খাওয়ার সময় স্বাভাবিকভাবেই পিঠ বাঁকা করে সামনে এগিয়ে যেতে হয়। এভাবে প্রতিবার সামনে পেছনে হওয়ার কারণে পেটের পেশীর ব্যায়াম হয় এবং পাকস্থলীর অ্যাসিড বের হয় যা সহজে খাবার হজম করে।
ওজন কমায়
নিচে বসে খাওয়ার সময় অঅমাদের বসার ভঙ্গি শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে। আমরা যখন বসি তখন আমাদের মস্তিস্ক আরাম পায় এবং এভাবে বসার কারণে স্বাভাবিকভাবেই আপনি আস্তে আস্তে খাবেন। এতে করে পাকস্থলীতে খাবার হজম হওয়ার প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পন্ন হয়। ফলে শরীরে মেদ জমতে পারে না।
শরীরকে নমনীয় করে
যোগব্যায়াম এবং ব্যায়ামের সময় স্কোয়াট এবং পদ্মাসন করার ফলে দেহকে যে ধরনের নমনীয়তা দেওয়া যায়, নিচে বসে খেলেও একই সুবিধা পাওয়া যায়। শরীর নমনীয় হলে পিঠে ব্যথা বা মেরুদণ্ডের ব্যথাজনিত সমস্যা দূর হয়।
আয়ু বাড়াতে সাহায্য করে
ইউরোপিয়ান জার্নাল অফ প্রিভেন্টিভ কার্ডিওলজি তাদের একটি গবেষণাপত্রে জানিয়েছে, নিচে আমরা পদ্মাসনে বসেই খাই। এতে আমাদের জীবনীশক্তির বৃদ্ধি ঘটে, শরীরেরর নিচের অংশের নমনীয়তা বাড়ে এবং শক্তিশালী হয়। গবেষণায় তারা আরও জানিয়েছে, যারা বেশীরভাগ সময় নিচে বসে খান তারা অন্যান্যদের তুলনায় বেশিদিন বাঁচেন।
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্য উন্নত করে
নিচে বসে পদ্মাসনে বসে খাওয়ার সময় শরীরের নড়াচড়ার মাধ্যমে দেহে রক্তসঞ্চালনের বৃদ্ধি ঘটে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি শিরা-উপশিরা এবং ধমনীকে সুস্থ রাখে। এতে করে আমাদের হৃৎপিণ্ডও ভালো থাকে।