কুষ্টিয়ায় তরমুজ খেয়ে ভাই-বোনের মৃত্যু
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে তরমুজ খেয়ে স্মৃতি (৯) ও অনিক (১১) নামে দুই ভাই-বোন মারা গেছে। রবিবার দুপুরে উপজেলার কালোয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একই পরিবাবের আরো ৮ জনসহ কমপক্ষে ৩০ জন অসুস্থ হয়েছে। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। পরে এ ঘটনায় তরমুজ বিক্রেতা রেজাউলকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, দুপুরে কালোয়া গ্রামের আসকর আলী কুমারখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে তরমুজ কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। এরপর ওই তরমুজ তার পরিবার ও প্রতিবেশীরা এক সাথে খায়। এর কিছুক্ষণ পরই তারা সবাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখানে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আসকর আলীর কন্যা স্মৃতি মারা যায়। এছাড়া স্মৃতির ভাই অনিককে (১১) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা যায়।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. সালেক মাসুদ জানান, ধারণা করা হচ্ছে তরমুজে কোনো কেমিকেল দেয়ার বিষক্রিয়ায় ওই শিশু মারা গেছে। তবে অন্য কোন কিছু খাবার ফলেও এমনটি ঘটতে পারে বলে তিনি জানান।
তরমুজ খেয়ে দুই ভাইবোনের মৃত্যুর ঘটনায় তরমুজ বিক্রেতা রেজাউলকে আটক করেছে পুলিশ। দুপুর আড়াইটার দিকে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শায়লা আক্তারের নেতৃত্বে কুমারখালী থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এ সময় ঐ দোকান থেকে ১৯টি তরমুজ জব্দ করা হয়।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ লুৎফর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, রেজাউলকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।