সিলেট সিটি মেয়রের সাথে বৃটিশ হাই কমিশনারের মতবিনিময়

Sylhetবাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন সোমবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মাননীয় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে মতবিনিময় করেছেন। নগরভবনে সকাল সাড়ে ১০টায় এই মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত বৃটিশ হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন বলেছেন, বৃটেন বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। দিনে দিনে এ সম্পর্ক আরো গভীর হচ্ছে। সিলেটের সাথে যুক্তরাজ্যের আন্ত:সম্পর্ক কিভাবে আরো গভীর করা যায় তারা সে প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।
রবার্ট গিবসন বলেন, আরিফুল হক চৌধুরী মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি সোমবার প্রথম সিলেটে এসেছেন। বৃটেনের সাথে সিলেটের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানকার বিপুল সংখ্যক মানুষ যুক্তরাজ্যে বসবাস করেন। এজন্য বৃটিশ হাইকমিশনের কাছে সিলেটের গুরুত্ব অত্যধিক। সিলেটে প্রবাসীদের সমস্যাবলী নিয়ে আলোচনা করতে তিনি সিলেট সফর করছেন বলে জানান হাইকমিশনার।
জবাবে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, প্রবাসীদের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনে খুবই আন্তরিক। প্রবাসীদের সমস্যাবলী নিরসনে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে শিগগিরই একটি ওয়েব সাইট খোলা হবে। প্রবাসীরা তাদের জমিজমা দখল সংক্রান্ত অভিযোগ ওয়েবসাইটে জানাতে পারবেন। এছাড়াও  প্রবাসীরা যাতে এখানে নির্বিঘেœ বিনিয়োগ করতে পারেন-সে ব্যাপারে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ সব ধরণের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি সিলেট সিটিতে লন্ডন সিটির মতো সিকিউরিটি ক্যামেরা সংযোজন করাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য যুক্তরাজ্য সরকারের সহায়তা কামনা করেন।
Arifএসময় বৃটিশ হাই কমিশনের পলিটিক্যাল এনালিস্ট এজাজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। সিটি কর্পোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীব, সচিব মমতাজ বেগম, ভারপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার নূর আজিজুর রহমান, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সুধাময় মজুমদার।
এদিকে আরিফুল হক চৌধুরীর সাথে সাক্ষাতের পর নগরভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে রবার্ট গিবসন বলেন, বৃটেন এদেশে জবাবদিহিমূলক গণতন্ত্র দেখতে চায়। এজন্য স্বাধীন মিডিয়া, পার্লামেন্টে শক্তিশালী বিরোধী দল এবং প্রাতিষ্ঠানিক স্বাধীনতা খুবই জরুরী। সাম্প্রতিককালে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হওয়ায় তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
বৃটিশ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী অ্যালান ডানকানের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বৃটেন-বাংলাদেশের বিদ্যমান সম্পর্ক ভবিষ্যতে কিভাবে আরো গভীর ও কার্যকর সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
বৃটিশ কারী ইন্ডাস্ট্রির সংকট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়ে অবহিত। তিনি বলেন, বৃটিশ সরকার কারী ইন্ডাস্ট্রির সংকট কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করছে। কারী ইন্ডাস্ট্রির সাথে সংশ্লিষ্টদের কিভাবে সহযোগিতা করা যায়-আমরা সে প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
বৃটিশ স্টুডেন্ট ভিসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বৃটেন সব সময় মেধাবী ছাত্রদের স্বাগত জানায়। তিনি বলেন, বৃটেনে শিক্ষার মান খুবই চমৎকার। কিন্তু, সাম্প্রতিককালে কিছু লোক স্টুডেন্ট ভিসায় বৃটেনে গিয়ে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কাজের সাথে (লো স্কিল জব) যুক্ত হচ্ছে। তারা স্টুডেন্ট ভিসার অপব্যবহার করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button