বিএনপির লংমার্চ শুরু বিমানবন্দর থেকে

দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল আটটায় লংমার্চ শুরু করার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে বিমানবন্দরের গোল চক্করের সামনে থেকে শুরু করবে বলে  জানিয়েছে বিএনপি। কর্মব্যস্ত দিন এবং যানজটের কথা বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি।
সোমবার বিকেল সাড়ে তিনটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ কথা জানান।
মঙ্গলবার পানির ন্যায্য হিস্যার দাবিতে তিস্তা অভিমুখে বিএনপির লংমার্চের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
লংমার্চের জন্য পুলিশের অনুমতি নেয়া হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘লংমার্চের কর্মসূচি নিয়ে পুলিশের সাথে প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে। আমরা তাদের এ বিষয়ে মৌখিকভাবে জানিয়ে দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘এখানে অনুমতি নেয়ার তো কিছুই নেই। আমাদের কর্মসূচি ঢাকায় নেই, ঢাকার বাইরে সমাবেশ হবে। স্থানীয় নেতারা সেভাবে ব্যবস্থা করবেন।’
লংমার্চের বিষয়ে রিজভী জানান, সকাল আটটায় লংমার্চ শুরু হবে। বিমানবন্দরের গোলচক্কর পার হয়ে সবাই সেখানে উপস্থিত থাকবেন, সেখানে সব যানবাহনও থাকবে। সেখান থেকেই লংমার্চ শুরু করা হবে।
রিজভী আরো জানান, লংমার্চ ঢাকার বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে রংপুর পৌঁছানো পর্যন্ত সাতটি পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম দফায় পথসভা  কালিয়াকৈরে নয়টা ৩০ মিনিটে, টাঙ্গাইল বাইপাস মোড়ে এগারোটা ৩০মিনিটে, সিরাজগঞ্জের কড্ডার মোড় বারোটা ৩০ মিনিটে, বগুড়া মাটিডালি ২ টা তিরিশ মিনিটে, গাইবান্ধা গোবিন্দগঞ্জ ৩টা ৩০ মিনিটে ও পলাশ বাড়িতে ৪ টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।
এরপর লংমার্চ রংপুর বিভাগীয় শহরে পৌছুবে। পরদিন বুধবার তিস্তা ব্যরেজের ডালিয়া অভিমুখে লংমার্চ শুরুর আগে সকাল নয়টায় পথসভা অনুষ্ঠিত হবে। পথ সভা শেষে সকাল এগারোটায় ডালিয়ায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। রংপুরের পথসভার স্থান পরে জানানো হবে বলেও জানান রিজভী।
রিজভী আহমেদ বলেন, ‘অন্যায় ভাবে ভারত পানি প্রত্যাহর করছে। বিভিন্ন ড্রেনেজ ও চ্যানেলের মাধ্যমে পানি নিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশে আসতে দিচ্ছে না। এটি জুলুম এটি অন্যায়। আর্ন্তজাতিক রীতিনীতি উপেক্ষা করে অন্যায়ভাবে উজানের দেশ ভারত এটি করছে।’
তিনি বলেন, ‘এই লংমার্চের বিরুদ্ধে যারা কথা বলছেন তারা জনগনের বিপক্ষেই ভুমিকা পালন করছেন।’
লংমার্চ কর্মসূচি বিএনপির না ১৯ দলের, জোটের শরিকরা এতে অংশগ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নের জাববে রিজভী বলেন, ‘এটা বিএনপির একার কর্মসূচি হলেও অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। যে কেউ এতে অংশগ্রহণ করতে পারে।’
সরকারের মদদে দুরভিন্ধিমূলকভাবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও যুগ্মমহাসচিব আমান উল্লাহ আমানকে কারাগারে পাঠনো হয়েছে অভিযোগ করে অবিলম্বে মুক্তি দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের যুগ্মমহাসচিব সালাহ উদ্দিন আহমেদ, মো. শাহজাহান, অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সালাম, সহ দপ্তর সম্পাদক আব্দুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহীন, মৎসজীবী দলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাহতাব, মহিলা দলের সাধারন সম্পাদক শিরিন সুলতানা, নির্বাহী কমিটির সদস্য হেলন জেরিন খান উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button