ঢাকা-মদিনা ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ
বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তর বেসরকারী বিমান সংস্থা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড, আগামী জুন মাস থেকে ঢাকা-মদিনা রম্নটে ফ্লাইট পরিচালনা করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে এই প্রথম সরাসরি ঢাকা থেকে মদিনা ফ্লাইট পরিচালিত হতে যাচ্ছে। মদিনা থেকে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের ঢাকা আগমনের সম্মানিত যাত্রীরা জেদ্দা থেকেও ভ্রমণ সুবিধা পাবেন।
ঢাকা থেকে প্রতি শুক্র ও রবিবার বিকাল ৫টা ৫০মিনিটে মদিনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে এবং শনি ও সোমবার স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৪৫মিনিটে মদিনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে। ওয়ান ওয়ের জন্য ঢাকা-মদিনার স্পেশাল ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছে ৩৩১১১টাকা এবং রিটার্ন ভাড়া ৫৬৫৭৯টাকা। এ ভাড়ায় সকল প্রকার ট্যাঙ্ ও সারচার্জ অন্ত্মর্ভূক্ত।
ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বাংলাদেশের পুঁজি বাজারে একমাত্র বিমান সংস্থা যা বর্তমানে ঢাকা থেকে আন্ত্মর্জাতিক রম্নট জেদ্দা, দুবাই, মাস্কাট, কুয়ালা লামপুর, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, কাঠমুন্ডু, কলকাতা এবং চট্টগ্রাম থেকে কলকাতা রম্নটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। এ ছাড়া ঢাকা থেকে আন্ত্মর্জাতিক রম্নট ছাড়াও অভ্যন্ত্মরীন সকল রম্নটে যেমন চট্টগ্রাম, কঙ্বাজার, সিলেট, যশোর, রাজশাহী, সৈয়দপুর, ঈশ্বরদী ও বরিশাল রম্নটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে ঢাকা থেকে গুরম্নত্বপূর্ন গন্ত্মব্য মদিনা, রিয়াদ, দাম্মাম, আবুধাবী, করাচি অপারেশন শুরম্ন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
ইতোমধ্যে সৌদি আরব সিভিল এভিয়েশন অথরিটি নিজস্ব এয়ারক্রাফট দিয়ে মদিনা ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য যাবতীয় অনুমতি দিয়েছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজকে। সপ্তাহে দুইটি করে ঢাকা থেকে মদিনা রম্নটে ফ্লাইট পরিচালনা পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
আগামী ১৪ই মে থেকে ঢাকা-দোহা রম্নটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরম্ন করতে যাচ্ছে।
ইউনাইটেডের বিমান বহরে রয়েছে একটি ড্যাশ-৮ ১০০, তিনটি এটিআর-৭২, পাঁচটি এমডি-৮৩ এবং দু’টি এয়ারবাস-৩১০ সহ মোট এগারোটি এয়ারক্রাফট।
‘Fly your own Airline’ স্স্নোগান নিয়ে ১০ জুলাই ২০০৭ সালে যাত্রা শুরম্ন করা ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ এখন পর্যন্ত্ম সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ গত সাত বছরে অভ্যন্ত্মরীন ও আঞ্চলিক রম্নটে সিংহভাগ মার্কেট শেয়ারের অংশীদার। গত সাত বছরে প্রায় ৪৭০০০ ফ্লাইট পরিচালনা এবং প্রায় ঊনিশ লক্ষ যাত্রী ও প্রায় ৫০০০ টন কার্গো বহন করেছে ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ (বিডি) লিমিটেড, যা বাংলাদেশের বিমান পরিবহন সেক্টরে একটি অনন্য রেকর্ড।