প্রবাসী কল্যাণ সচিবের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
ক্ষমতার অপব্যবহার ও প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর মতিঝিল থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদকের উপপরিচালক যতন কুমার রায়।
এর আগে সকালে দুদক কার্যালয়ে কমিশনের নিয়মিত বৈঠকে ড. খন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমোদন দেয়া হয়।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, খন্দকার শওকত হোসেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে রাজউক কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করে মতার অপব্যবহারের মাধ্যমে স্ত্রী ড. আয়েশা বেগম, মা জাকিয়া আমজাদ এবং নিজের নামে অবৈধভাবে রাজউকের প্লট বরাদ্দ এবং প্লটের আকার বৃদ্ধি করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। দুদকের অনুসন্ধানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে এবং এর ভিত্তিতেই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মতার অপব্যাবহারের মাধ্যমে রাজউকে প্লট বরাদ্দ নেয়ার অভিযোগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি খন্দকার শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। দুদকের উপপরিচালক যতন কুমার রায় অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্বপ্রাপ্তির পর প্রায় দেড় মাস অভিযোগের বিষয়টি অনুসন্ধান করেন।
দুদক সূত্র জানায়, সচিবের অবৈধভাবে জমি দখলের তিনটি অভিযোগের অনুসন্ধান শুরু করেছিল কমিশন। প্রথম অভিযোগ- সচিব খন্দকার শওকত হোসেন রাজউকের পূর্বাচল আবাসিক প্রকল্পে স্ত্রী ড. আয়েশা খানমের নামে সাত কাঠা প্লট বরাদ্দ নিয়ে দুই দফায় আকার বৃদ্ধির মাধ্যমে বারো কাঠায় উন্নীত করেন। দ্বিতীয় অভিযোগ- উত্তরা আবাসিক প্রকল্পে নিজের মায়ের নামে কেনা তিন কাঠার প্লট পাঁচ কাঠায় উন্নীত করেন। তৃতীয় অভিযোগ- একই প্রকল্পে নিজের নামে তিন কাঠার একটি প্লট বরাদ্দ নিয়ে পাঁচ কাঠায় উন্নীত করেন তিনি। তিনটি প্লট বরাদ্দের েেত্র কোন নিয়ম-নীতি স্বচ্ছতার অভাব এবং ক্ষমতার অপব্যবহার ছিল যা ১৯৪৭ সনের ২ নং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
ড. খন্দকার শওকত হোসেন গত মহাজোট সরকার আমলে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রনালয়ের সচিব থাকা কালে এই দুর্নীতি ও অনিয়ম করেন। তিনি বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।