আল্লাহর দেয়া নিয়মাবলী মেনে চলার মধ্যেই রয়েছে সকল সমাধান
আমিরুল মুজাহিদীন আলহাজ মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, মানুষের জীবনে চলার পথে এমন কোন সমস্যা নেই, যার সমাধান ইসলাম দেয়নি। আল্লাহ যেহেতু মানুষ সৃষ্টি করেছেন, তাই তার দেয়া নিয়মাবলী অনুযায়ী চললেই কেবল মানব জীবনে শান্তি আসবে। তাছাড়া যত মনগড়া মতবাদ বা আদর্শ রয়েছে এগুলোর মাধ্যমে শুধু অশান্তির দাবানলই জ্বলে উঠবে। যতদিন মানুষ ইসলাম ধারণ করে ছিল, ততদিন মুসলমান ছিল বিশ্বময় নেতৃত্বদানকারী জাতি। মুসলমানরা যখন ইসলাম ছেড়ে তাগুতের দিকে ধাবিত হচ্ছে তখনই তারা লাঞ্ছিত ও অপমানিত হচ্ছে। বর্তমানে ডিজিটাল যুগে বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কার হচ্ছে। কিন্তু কোন কিছু আবিষ্কার করার পূর্বে তার ব্যবহার সম্পর্কে মানুষের কোন ধারণা ছিল না। কিন্তু ১৪শত বছর পূর্বে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন অনেক অনাবিষ্কৃত বিষয়ে পবিত্র কুরআনে জানিয়ে দিয়েছেন। কোন মানুষ যদি পরিপূর্ণ ইসলামী জীবনাচার মেনে চলে, সে তখন পরিণত হয় একজন আদর্শ মানুষে। তেমনি সমাজ ও রাষ্ট্র যদি ইসলাম অনুযায়ী পরিচালিত হয়, সেই রাষ্ট্রও হবে সর্বদিক দিয়ে বিশ্বের মধ্যে মডেল। তিনি কুরআনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, আল্লাহ তা‘আলা মানুষকে ইসলামে পরিপূর্ণভাবে দাখিল হওয়ার জন্য নির্দেশ করেছেন। দ্বীনের কিছু অংশ মানলে এবং কিছু অংশ না মানলে সে পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারে না। তাই তিনি সকলকে দেশ ও জাতির স্বার্থে ইসলামের নির্দেশ মতো চলার আহ্বান জানান। দেশের সামগ্রিক অবস্থার জন্য প্রচলিত সামাজিক অবস্থা ও মানব রচিত মতাদর্শকে দায়ী করে তিনি বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দেশ ও ইসলামের বিরুদ্ধে চক্রান্ত চলছে। দাওয়াতুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী তাফসিরুল কুরআন মাহফিলের শেষ দিনে প্রধান অতিথির বয়ানে তিনি এসব কথা বলেন।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ আছর থেকে মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আছর নামাজের আগেই হাজার হাজার উৎসুক ইসলামপ্রিয় জনতা মাহফিলস্থলে পৌঁছতে থাকে। মাগরিবের নামাজের সময় জনতার উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়। রাত ৯টার পর পীর সাহেব যখন মঞ্চে উঠেন তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আশপাশের রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সকলের কণ্ঠেই ছিল আল্লাহ আল্লাহ জিকির। মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা এ.টি.এম. হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় মাহফিলে আরো তাফসির পেশ করেন চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর সাহেব কারীমপুর, মাওলানা আনোয়ার হোসেন জেহাদী। মাহফিলে দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই ভারত কর্তৃক তিস্তা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার ও তিস্তা চুক্তি না করাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভূখ-কে মরুভূমি বানানো আল্লাহ সহ্য করবেন না। আর এদেশের ক্ষমতায় থেকে যারা ভারতের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত সেসব দালালদের দেশের মানুষ একদিন বিচার করবে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতকে একতরফা পানি, বিদ্যুৎ ও করিডোর প্রদান করা দেশপ্রেমিক সরকারের পরিচয় নয়। তিনি ভারতের সাথে নতজানু নীতির পরিচয় না দিয়ে তিস্তাসহ সকল ব্যাপারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবি করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই সংবিধানের মূলনীতিতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ইসলামী রাজনীতি করার অধিকার ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংবিধানে বহাল রাখার দাবি করেছেন। তিনি সম্প্রতি দেশব্যাপী ইভটিজিং-এর ব্যাপকতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইসলাম যেখানে নারী-পুরুষের পোশাক-পরিচ্ছদ-এর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন দিয়েছে সেখানে উচ্চ আদালত কর্তৃক মহিলাদের বোরকা পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইভটিজিং করতে বখাটেদের উসকে দিয়েছে। তিনি বলেন টিভি, সিনেমা ও মিডিয়ায় নারীদেহকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার ও নগ্নতানির্ভর সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ না হলে ইভটিজিং বন্ধে কোন আইন কাজে আসবে না। তিনি শাসকদেরকে দেশ, জনগণ ও জনগণের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান।
গতকাল মঙ্গলবার বাদ আছর থেকে মাহফিলের দ্বিতীয় দিনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে আছর নামাজের আগেই হাজার হাজার উৎসুক ইসলামপ্রিয় জনতা মাহফিলস্থলে পৌঁছতে থাকে। মাগরিবের নামাজের সময় জনতার উপচে পড়া ভীড় পরিলক্ষিত হয়। রাত ৯টার পর পীর সাহেব যখন মঞ্চে উঠেন তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। আশপাশের রাস্তা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। সকলের কণ্ঠেই ছিল আল্লাহ আল্লাহ জিকির। মাহফিল বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক হাফেজ মাওলানা এ.টি.এম. হেমায়েত উদ্দিনের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম ও মাওলানা আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় মাহফিলে আরো তাফসির পেশ করেন চরমোনাই কামিল মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, আল্লামা নূরুল হুদা ফয়েজী পীর সাহেব কারীমপুর, মাওলানা আনোয়ার হোসেন জেহাদী। মাহফিলে দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন।
পীর সাহেব চরমোনাই ভারত কর্তৃক তিস্তা নদীর পানি একতরফা প্রত্যাহার ও তিস্তা চুক্তি না করাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করে বলেন, বাংলার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ভূখ-কে মরুভূমি বানানো আল্লাহ সহ্য করবেন না। আর এদেশের ক্ষমতায় থেকে যারা ভারতের স্বার্থ উদ্ধারে ব্যস্ত সেসব দালালদের দেশের মানুষ একদিন বিচার করবে। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতকে একতরফা পানি, বিদ্যুৎ ও করিডোর প্রদান করা দেশপ্রেমিক সরকারের পরিচয় নয়। তিনি ভারতের সাথে নতজানু নীতির পরিচয় না দিয়ে তিস্তাসহ সকল ব্যাপারে বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নেয়ার জন্য সরকারের নিকট দাবি করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই সংবিধানের মূলনীতিতে সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস, রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম, ইসলামী রাজনীতি করার অধিকার ও বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম সংবিধানে বহাল রাখার দাবি করেছেন। তিনি সম্প্রতি দেশব্যাপী ইভটিজিং-এর ব্যাপকতায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ইসলাম যেখানে নারী-পুরুষের পোশাক-পরিচ্ছদ-এর ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট গাইড লাইন দিয়েছে সেখানে উচ্চ আদালত কর্তৃক মহিলাদের বোরকা পরার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে ইভটিজিং করতে বখাটেদের উসকে দিয়েছে। তিনি বলেন টিভি, সিনেমা ও মিডিয়ায় নারীদেহকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার ও নগ্নতানির্ভর সংস্কৃতি চর্চা বন্ধ না হলে ইভটিজিং বন্ধে কোন আইন কাজে আসবে না। তিনি শাসকদেরকে দেশ, জনগণ ও জনগণের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় কাজ করার আহ্বান জানান।