বিচারিক হত্যাকান্ড বন্ধের দাবিতে
বান কি মুনকে স্মারকলিপি
জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, সাবেক আমীর গোলাম আজম, জামায়াত নেতা মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও কামারুজ্জামানের মুক্তি এবং বিচাররিক হত্যাকান্ড বন্ধের দাবিতে ২৪ এপ্রিল (নিউইয়র্ক সময় অনুযায়ী) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশন ম্যানহাটনের জাতিসঙ্ঘ সদর অধিদপ্তরের সমানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বিক্ষোভ সমাবেশের আগে তথাকথিত যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল বাতিল ও সেই আদালতের মাধ্যমে বিচারিক হত্যাকাণ্ড বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করেছে। কোয়ালিশন অব বাংলাদেশী আমেরিকান এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আর আরিফের সভাপতিত্বে এবং প্রগ্রেসিভ ফেরামের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমানের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর কাজী মোহাম্মদ ইসমাইল, ইমাম শামসে আলী, মঈনুদ্দীন, সাহানা মাসুম, মাওলানা শিহাব, কাওসার মাহরুফ, ইমাম মাওলানা রফিক, রোকেয়া আহমেদ ডেইজি, ড. ওয়াজি উল্লাহ, রহমতুল্লাহ প্রমুখ।
বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার হচ্ছে দেশ, জাতি, গণতন্ত্র ও ইসলামের শত্রু। তারা বলেন, ইতিমধ্যেই সরকার রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য কাদের মোল্লাকে বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকারে পরিণত হয়েছে। অখচ তার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষি দেয়া হয়েছে। এখন সরকার চেষ্টা করছে মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলাতে।
তারা বলেন, মাওলানা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী যুদ্ধাপরাধী ছিলেন না। পিরোজপুরের মানুষ তার সন্তানকে উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়ে প্রমাণ করেছে আরো একবার। মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিচারিক হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ফাঁসি দেয়া হয় তাহলে সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে এবং সেই আগুনে স্বৈরাচারি শেখ হাসিনা সরকারের পতন হবে। তারা ক্ষোভের সাথে বলেন, মাওলানা সাঈদীকে ফাঁসি দেয়ার অর্থ হচ্ছে ইসলামকে ফাঁসি দেয়া ও ইসলামকে ধ্বংস করা। কারণ তাকে ফাঁসি দিলে ইসলামের কথা বলার কেউ থাকবে না। তারা আরো বলেন, মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধেও মিথ্যা সাক্ষী দেয়া হয়েছে। তার প্রকৃত সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে কোর্ট থেকে সরকারের আইন শঙ্খলা বাহিনী উঠিয়ে নিয়ে গেছে এবং ভারতের কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে। আর চিহ্নিত চোর দিয়ে মাওলানা সাঈদীর বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে তাকে তথাথিত আদালতের মাধ্যমে ফাঁসির রায় দেয়া হয়েছে। তারা বলেন, বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র নেই, বিচার নেই, মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই, মিডিয়ার কন্ঠ রোধ করে রাখা হয়েছে। মানুষ তার ন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করতে গেলে তাদের উপর গুলি চালানো হয়, এমন কি মসজিদে পর্যন্ত গুলি করা হচ্ছে। জামায়াত ও বিরোধী দলকে ধ্বংস করার জন্য জামায়াতের নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের বিচারবর্হির্ভূতভাবে হত্যা করা হচ্ছে। এই ফ্যাসিস্ট এবং ভারতের দালাল সরকারের হাতে বাংলাদেশ, বাংলাদেশের মানুষ, গণতন্ত্র এবং ইসলাম নিরাপদ নয়। শেখ হাসিনা সরকার দেশ, জাতি, গণতন্ত্র এবং ইসলামের শত্রু। এই দেশ, ইসলাম এবং গণতন্ত্র বিরোধী সরকারকে হটাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন করতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি আব্দুল্লাহ আল আরিফ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বাংলাদেশকে ভারতের করদ রাজ্য বানানোর ষড়যন্ত্র করছে, তারা সীমানা মুচে দিতে চায়, মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদীসহ জামায়াতে ইসলামির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি দিয়ে বাংলদেশ থেকে ইসলাম ধ্বংস করতে চায়। তিনি তথাকথিক ট্রাইব্যুনাল বাতিল করে বিচারিক হত্যাকান্ড কন্ধের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সরকারবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়া হয়। এ সব শ্লোগান ভিন দেশীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। এ ছাড়াও তারা বিচারিক হত্যাকান্ড বন্ধ এবং তথাকথিক ট্রাইব্যুনাল বাতিল করার জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুনের বরাবরে স্মরক লিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিটি ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সাত্তারের নেতৃত্বে দেয়া হয়।