১৪ মাসে ৩১০ জনকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছন, গত বছরের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ১৪ মাসে পুলিশ, র্যাব ও আওয়ামী লীগ গুণ্ডাদের হাতে তাদের ৩১০ নেতা কর্মীকে হত্যা ও গুম করা হয়েছে। রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মহানগর বিএনপি আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সারা দেশে অব্যাহত গুম খুনের প্রতিবাদে এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তিনি বলেন, এই ৩১০ জনের মধ্যে ২৭২ জনকে হত্যা করা হয়েছে। ২৫ জনকে গুম করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার কোনো গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না। তারা একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাসী। তারা ক্ষমতাকে পাকাপোক্ত করতে চাচ্ছে।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে চার্জ গঠন হওয়া মামলার ব্যাপারে মির্জা আলমগীর বলেন, সরকার দুদককে দিয়ে জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতির যে মামলাটি করেছে তা একটা ভিত্তিহীন ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করা জন্য উদ্দেশ্যমূলকভাবে করা হয়েছে। বাস্তব সত্য হচ্ছে প্রবাসীদের দেয়া ওই অর্থ খালেদা জিয়া নিজে থেকে এতিমদের জন্য বরাদ্দ দেন। এবং সেই টাকা খরচের জন্য তিনি নিজে একটি ট্রাস্ট গঠন করেন। ওই টাকা এখনো ব্যাংকেই রয়েছে। অথচ সরকার উদ্দেশ্যমূলকভাবে তাকে হেয় করতেই এই নাটক সাজিয়েছে।
তারেক রহমানের মামলা সম্পর্কে তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা মামলার উদ্দেশ্যই বিএনপি ও জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুর্বল করে দেয়া। আর ভবিষ্যতে যাতে তারেক রহমান জাতীয়তাবাদী শক্তির নেতৃত্ব দিতে না পারেন সেজন্য ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার স্বাক্ষীদের জোর করে নির্যাতন চালিয়ে রাজস্বাক্ষী নিয়ে তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে।
ঢাকা মহানগর বিএনপির আহবায়ক সাদেক হোসেন খোকার সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন আলম, শিা বিষয়ক সম্পাদক খাইরুল কবির খোকন, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ।