গুম-অপহরণের জন্য বিএনপিই দায়ী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি চোরাগোপ্তা রাজনীতি করে সরকারের পতন ঘটাতে চাচ্ছে। তাদের চোরাগোপ্তা রাজনীতির কারণে দেশে গুম-অপহরণ-হত্যার ঘটনা ঘটছে। এসব গুম-অপহরণের জন্য বিএনপিই দায়ী।’
মহান মে দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুরের ভাওয়ালে শ্রমিক লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের আমল থেকেই হত্যার রাজনীতি শুরু হয়। রাজাকার আলবদরদের তিনি ক্ষমতায় বসিয়ে তাদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বনিয়েছেন। তার স্ত্রী খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেই ধারা অব্যাহত রেখে শহীদদের রক্তভেজা পতাকা রাজাকারের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা যু্দ্ধাপরাধীদের বিচার কাজ শুরু করেছি। তাদের বিচারের রায় বাংলার মাটিতে কার্যকর করা হবে।’
শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের এই দিনে মালিক পক্ষকে ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘কেউ কেউ কষ্টের জীবন যাপন করবে, অন্যদিকে কেউ বিলাসী জীবন যাপন করবে সেটা হতে পারবে না। বাংলাদেশে কেউ খাবে কেউ খাবে না তা হবে না। জনগণের ভাগ্য নিয়ে কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া হবে না।’
বস্তিবাসীদের গ্রামে ফেরানোর কর্মসূচি রয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামে ফিরে গেলে তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে।’ সেই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রের জন্য বিনা শর্তে ঋণ দেয়ার কথাও জানান তিনি।
বিএনপি ৫ জানুয়ারি নির্বাচন বন্ধ করার জন্য বিদেশি প্রভুদের কাছে নালিশ করেছিল জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নালিশ করে তারা (বিএনপি) বালিশ পেয়েছে। ভাঙা জুতার বাড়ি খেয়েছে। জনগণ নির্বাচন করে তাদের সেই নালিশের জবাব দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘পোশাকশিল্পের জিএসপি সুবিধা বাতিলের জন্য বিএনপি নেত্রী আমেরিকার কাছে চিঠি লিখেছিলেন। এতে আমেরিকা জিএসপি সুবিধা বন্ধ করে দেয়। কিন্তু তিনি সংসদের দাঁড়িয়ে তা অস্বীকার করেন।’
জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় সভাপতি শুকুর মাহমুদের সভাপতিত্বে জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, নৌ-পরিবহণ মন্ত্রী ও শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি মো.শাহজাহান খান, মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি এমপি, সিমিন হোসেন রিমি এমপি, জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, জাহাঙ্গীর কবির নানক এমপি, মাহবুবুল আলম হানিফ, আওয়ামীলীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রশাসক সাবেক এমপি আখতারউজ্জামান, গাজীপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আজমত উল্লাহ খান প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা শ্রমিক-জনতার কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা শ্রমিকদের শিল্প মালিক বানিয়েছি। তাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য মুজুরি বৃদ্ধি করেছি। ভবিষ্যতে আরো মুজুরি বৃদ্ধি করা হবে।’