ঝুলে গেছে জামায়াতের নিবন্ধন মামলা

রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির বিষয়টি ক্রমাগত অনিশ্চয়তার দিকেই ধাবিত হচ্ছে। কারণ মামলার বাদী ও বিবাদী কোনো পক্ষই শুনানির ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
গত বছরের ১ আগস্ট উচ্চ আদালত নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণা করে। এতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের লড়াইয়ে জামায়াতের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।
নির্বাচনে অংশগ্রহণে জামায়াতকে অনুমতি দিয়ে ২০০৮ সালে তৎকালীন নির্বাচন কমিশনের গৃহীত সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে কয়েকটি ইসলামিক দল, সংগঠন এবং ব্যক্তি। ব্যক্তি, দল ও সংগঠনসহ ২৫ জন আবেদনকারীর একটি রিটের ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ বলে ঘোষণা করে উচ্চ আদালত।
পরে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর উচ্চ আদালতের এই রায়কে পাল্টা চ্যালেঞ্জ করে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করে জামায়াত। জামায়াতের নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নিবন্ধনের বিষয়ে খুব একটা উদ্বিগ্ন ছিল না দলটি। দলীয় নেতা-কর্মীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা এবং সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দিকেই জামায়াতের মূল মনোযোগ।
জামায়াতের আইনজীবী বেলায়েত হোসেন জানান, সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুর রাজ্জাক বিদেশে আছেন। তিনি কবে ফিরবেন তাও অনিশ্চিত। এজন্য আপিলের শুনানি হচ্ছে না।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী তানিয়া আমির সে সময় জানিয়েছিলেন, যেহেতু জামায়াত সুপ্রিম কোর্টে আপিল আবেদন করেছে তাই দ্রুত শুনানির জন্য দলটির উচিত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
তিনি বলেন, “শুনানির তারিখ পাওয়ার বিষয়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষের আইনজীবীরা যথেষ্ট আন্তরিক নন। তারা দ্রুত শুনানির জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না  করলে এর জন্য আমাদেরই পদক্ষেপ নিতে হবে।”
গত ২৩ মার্চ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচন কমিশনে জামায়াতের নিবন্ধনের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট তার শেষ সিদ্ধান্ত জানানোর পরে জামায়াতকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে আপিল মামলাটি এখনো ঝুলে আছে বলে এর চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সরকারও কিছু করতে পারছে না।” সূত্র: ডেইলি স্টার।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button