মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদন
সার্বিয়া যেতে ভিসা লাগবে না কূটনীতিকদের
এখন থেকে ভিসা ছাড়াই সার্বিয়া যেতে পারবেন বাংলাদেশের কূটনীতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরা। শুধু বাংলাদেশীরাই নয়; পাশাপাশি বাংলাদেশে আসতেও সার্বিয়ার কূটনীতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের কোন ভিসার দরকার হবে না।
সোমবার সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে ভিসা অব্যাহতি সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষরের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে শেষে মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, দু’দেশের কূটনৈতিক ও অফিশিয়াল পাসপোর্টধারীরাই এ সুবিধা ভোগ করবেন।
তিনি বলেন, সার্বিয়ায় একবার যাওয়ার পর সর্বোচ্চ ৯০ দিন পর্যন্ত অবস্থান করা যাবে। পাশাপাশি সার্বিয়াকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে অন্য কোনো দেশে যাওয়ার ক্ষেত্রেও এই সুবিধা ভোগ করা যাবে। এছাড়া দু’দেশে কর্মরত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও এই সুবিধা পাবেন বলে জানান তিনি।
সচিব বলেন, এই চুক্তিতে কোন সময়সীমা থাকছে না। তবে কোন পক্ষ চাইলে নোটিশ দিয়ে এই চুক্তি বাতিল করতে পারবে। চুক্তিপত্র বাংলা, সার্বিয়ান ও ইংরেজি ভাষায় সম্পাদিত হবে। কোন বিষয়ে সাংঘর্ষিক হলে ইংরেজি প্রাধান্য পাবে।
তিনি বলেন, বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের এ ধরনের চুক্তি রয়েছে। ভিসামুক্ত হলে সার্বিয়ার সঙ্গে দ্বি-পাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে এবং সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে।
সচিব জানান, এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে বস্ত্র দপ্তরকে বস্ত্র খাতের পোষক কর্তৃপক্ষ নির্ধারণ করা হয়েছে এবং এ লক্ষ্যে ইতোপূর্বে গৃহীত সিদ্ধান্ত সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে প্রণীত শিল্পনীতিতে বলা হয়েছিল, যে শিল্প যে খাতের আওতাধীন সে সব প্রতিষ্ঠান ওই খাতের অধীনে থাকবে। কিন্তু ১৯৯২ সালের ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত মন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে নোট দেওয়া হয় যে, ক্ষুদ্র কুটির শিল্প বিসিকের অধীনে, রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ এলাকায় অবস্থিত প্রতিষ্ঠান বেপজা’র আওতাধীন এবং অন্যান্যগুলো বিনিয়োগ বোর্ডের অধীনে থাকবে।
সচিব বলেন, এতে বস্ত্র খাত বস্ত্র দপ্তর না বিনিয়োগ বোর্ড কার অধীনে থাকবে এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। আজকের বৈঠকের এটি সংশোধন করে পাট ও বস্ত্র খাতকে বস্ত্র দপ্তরের অধীনে নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
সচিব জানান, অন্যান্যের মধ্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ দ্বিতীয় জেনেভা ডায়লগে যোগদানের বিষয়ে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেন।