৪৩৪ কোটি টাকার ৪ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন
৪৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার ৪টি প্রকল্প অনুমোদন করেছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো হলো—চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্প, উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি (দ্বিতীয় পর্যায়) প্রকল্প, মানিকখালী সেতু নির্মাণসহ আশাশুনী-পাইকগাছা সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প এবং ট্রান্সমিশন ইফিসিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট থ্রো রিয়্যাকটিভ পাওয়ার কমপেনসেশন অ্যান্ড রি-এনফোর্সমেন্ট অব গোয়ালপাড়া সাব-স্টেশন প্রকল্প। মঙ্গলবার আগারগাঁওস্থ এনইসি সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সভাপত্বি করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
সভা শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান—মোট প্রকল্প বরাদ্দের মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩১৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্য ৯৯ কোটি ৫৯ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ১৮ কোটি ৮ লাখ টাকা। ৪টি প্রকল্পের মধ্যে নতুন প্রকল্প ২টি এবং ২টি সংশোধিত প্রকল্প।
৬৯ কোটি ২৯ লাখ টাকা চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পটি মার্চ, ২০১৪ থেকে জুন, ২০১৮ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। এ প্রকল্পটিতে ৫টি নতুন ডিসিপ্লিনের আওতায় স্নাতক/স্নাতককোত্তর ডিগ্রি প্রদানে সুযোগ সৃষ্টি হবে এবং অ্যাডভান্সড রিসার্চ ও স্টাডিজে সুযোগ সৃষ্টি হবে। ৯৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে উত্তরাঞ্চলের দরিদ্রদের কর্মসংস্থান নিশ্চিতকরণ কর্মসূচি (দ্বিতীয় পর্যায়) শীর্ষক প্রকল্পটি সম্পূর্ণ সরকারি অর্থায়নে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) বাস্তবায়ন করবে। প্রকল্পটি রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নিলফামারী এবং লালমনিরহাট জেলার ৩৫টি উপজেলায় এপ্রিল, ২০১৪ থেকে মার্চ ২০১৯ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটির প্রধান প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—৩৩,৬০০ জন সুবিধাভোগীকে ট্রেড-ভিত্তিক ৬০ দিন মেয়াদি দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণ প্রদান, প্রশিক্ষণের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবা, শিশুর যত্ন, পুষ্টি, নেতৃত্ব, বাল্যবিবাহের কুফল, শিশুশ্রম, প্রসূতি মায়ের সেবা, নারী ও শিশু অধিকার ইত্যাদি সামাজিক সচেতনতামূলক বিভিন্ন বিষয়ে উদ্বুদ্ধকরণ প্রশিক্ষণ প্রদান ইত্যাদি ছাড়াও সব সুফলভোগীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের তুলনামূলক ডাটাবেজে তথ্য সংরক্ষণ করা হবে।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান—সরকার এ প্রকল্পের মাধ্যমে ৬ শতাংশ হারে শুধু সার্ভিস চার্জ আদায় করবে। অন্যকোনো ধরনের সুদ উপকারভোগীকে দিতে হবে না। ১০৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা ব্যয়ে মানিকখালী সেতু নির্মাণসহ আশাশুনী-পাইকগাছা সড়ক উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটিও সম্পূর্ণ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সড়ক বিভাগের আওতায় সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ধরা হয়েছে জুলাই ২০১০ থেকে জুন ২০১৬ পর্যন্ত। ১৬১ কোটি ৯২ লাখ টাকা ব্যয়ে ট্রান্সমিশন ইফিসিয়েন্সি ইম্প্রুভমেন্ট থ্রো রিয়্যাকটিভ পাওয়ার কমপেনসেশন অ্যান্ড রি-ইনফোর্সমেন্ট অব গোয়ালপাড়া সাব-স্টেশন শীর্ষক প্রকল্পটি আজ সংশোধিত আকারে অনুমোদন করা হয়। প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল ফেব্রুয়ারি ২০০৮ থেকে জুন ২০১৪ পর্যন্ত ধরা হয়েছে।
সভায় পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, বিদ্যুত্ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গাসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।