জমির টেলিকমের সিগন্যালিং লিংক বিচ্ছিন্ন
বিটিসিএল এমডির বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে জমির টেলিকমের সিগন্যালিং লিংক বিচ্ছিন্ন করায় বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেডের (বিটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। রুলে কেন বিবাদীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এক আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিচারপতি আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি আশরাফুল কামাল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। ‘জমির টেলিকম’র মালিক নওফেল জমির আদালত অবমাননার আবেদনটি করেন। তিনি সাবেক স্পিকার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের ছেলে।
এক সপ্তাহের মধ্যে বিটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজ উদ্দিন আহমদ, মহা-ব্যবস্থাপক এ এ মোহাম্মদ মোয়াসীর এবং পরিচালক (ওভারসীজ) মো. জিয়াদুল আনামকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
২০১০ সালের ১৭ মার্চ বিটিসিএল বিনা নোটিশে জমির টেলিকমের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করলে ওই বছরের ২২ এপ্রিল আদালত পুনঃসংযোগ দিতে নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে রুল জারি করেন। ছয় মাস পরে বিটিসিএল সংযোগ দেয়।
দেরীতে সংযোগ দেয়ায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিটিসিএল আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দায়ের করে। এর বিচার করছেন বাংলাদেশের সাবেক তিন প্রধান বিচারপতি। ২০১২ সালের ৩ মার্চ এ তিন বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল অন্তর্বর্তীকালীন এক আদেশে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংযোগ বিচ্ছিন্ন না করতে নির্দেশ দেন।
এদিকে ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল হাইকোটের্র জারি করা রুল চূড়ান্ত করে ২০১২ সালের ১১ মার্চ রায় দেন। রায়ে আরবিট্রেশন ট্রাইব্যুনালের বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংযোগ বহাল রাখার পক্ষে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
কিন্তু ট্রাইব্যুনালের বিচার চলা অবস্থায় বিল বকেয়া থাকার অভিযোগে মন্ত্রীর নির্দেশে চলতি বছরের ২০ মার্চ জমির টেলিকমের সংযোগ আবার বিচ্ছিন্ন করা হয়।
হাইকোর্ট ও ট্রাইব্যুনালের আদেশ লঙ্ঘন করায় বিটিসিএল এর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ দায়ের করে জমির টেলিকম।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি ও ব্যারিস্টার রফিক-উল হক।