হোমস ত্যাগ করেছে বিদ্রোহীরা
সিরিয়ার বিদেশি মদদপুষ্ট বিদ্রোহীরা সেদেশের মধ্যস্থলীয় হোমস শহর ত্যাগ করেছে। গত শুক্রবার সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় সরকারি বাসের দুটি বহরে করে শত শত বিদ্রোহী বুধবার হোমস ত্যাগ করে।
সিরিয়ার সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযানের মুখে টিকতে না পেরে এক সময় নিজেদের রাজধানী বলে দাবি করা হোমস শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হলো বিদ্রোহীরা।
গত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে তারা এ শহরটি দখল করে রেখেছিল। এ ঘটনাকে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর জন্য বিশাল বিজয় বলে মনে করছেন সমর বিশেষজ্ঞরা।
২০১১ সালে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের বিরুদ্ধে বিদেশি মদদে সহিংসতা শুরু হওয়ার পর পরই বিদ্রোহীরা হোমস শহরের বেশিরভাগ এলাকা দখল করে নেয়। কিন্তু ২০১২ সালের শেষদিক থেকে শহরটির কিছু কিছু অংশ পুনর্দখল করতে থাকে সেনাবাহিনী এবং এবারের অস্ত্র বিরতির মাধ্যমে পুরো শহর সরকারের নিয়ন্ত্রণে চলে এলো।
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে সরকারি বাহিনী পুরোনো এ শহরটি থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বিদ্রোহীকে সরে যাওয়ার সুযোগ দিয়েছিল।
সহিংসতা শুরু হওয়ার পর বিদেশি মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা হোমসকে নিজেদের রাজধানী ঘোষণা করে শপথ নিয়েছিল তারা এ শহর ছেড়ে যাবে না। কিন্তু সেনাবাহিনীর অগ্রাভিযানের মুখে তারা পরাজয়ের বেশে শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হলো।
জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে সিরিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া সবুজ বাসের বহরে চড়ে বিদ্রোহীরা হোমস ত্যাগ করে।
প্রত্যেক বিদ্রোহীকে একটি ব্যাগ ও একটি রাইফেল নেয়ার এবং প্রতিটি বাসের জন্য একটি আরপিজি সঙ্গে রাখার অনুমতি দেয়া হয়। এসব সন্ত্রাসী হোমস থেকে ২০ কিলোমিটার উত্তরে বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত তালবিসাহ ও দার আল-কাবিরা শহরে চলে যায়। তবে একের পর এক বড় বড় শহর সেনাবাহিনীর হাতে পুনর্দখল হতে থাকায় অচিরেই এসব ছোট শহরেরও পতন হবে বলে মনে করছেন অনেকে।