শাপলা চত্বরে যারা রক্ত দিয়েছে, সেই ত্যাগ বৃথা যাবে না : আল্লামা শফী
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী বলেছেন, ইসলামের আকিদা-বিশ্বাস হেফাজত করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। আল্লাহর পবিত্র কুরআন ও রাসূল সা:-এর সুন্নাহর অনুসরণ ছাড়া মানবতার কল্যাণ নেই। বর্তমান সমাজে গুম খুন অপহরণ জুলুম ও নির্যাতন যে হারে বৃদ্ধি পেয়েছে, তাতে মনে হয় মানুষের মানবিক ও নৈতিক বোধগুলোর চরম অবয় দেখা দিয়েছে। নাস্তিক্যবাদী চেতনা প্রচারের কারণে সমাজে ইসলামবিদ্বেষী মনোভাবাপন্ন লোক দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি বলেন, বিগত ৫ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সা:-এর অবমাননাকারী নাস্তিকদের শাস্তির বিধান কায়েম করার দাবিতে জমায়েত হয়েছিল। কিন্তু নিরীহ আলেম-হাফেজ ও নবীপ্রেমিক তৌহিদি জনতার ওপর যৌথ আক্রমণ চালিয়ে তাদেরকে শহীদ করে এ দেশ থেকে ইসলামকে নিশ্চিহ্ন করার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি বলেন, যারা শাপলা চত্বরে রক্ত দিয়েছে তাদের সেই রক্ত বৃথা যাবে না।
গতকাল বাদ জোহর দারুল উলুম হাটহাজারী কার্যালয়ে আমিরে হেফাজত আল্লামা শাহ আহমদ শফীর সাথে বিভিন্ন জেলার উলামায়ে কেরাম ও প্রতিনিধিরা সাাৎ করতে এলে তিনি উপরিউক্ত কথাগুলো বলেন। পবিত্র মদিনা শাখার হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম মাদানী, নোয়াখালী, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকার ডেমরা অঞ্চলের উলামায়ে কেরামও সাাৎ করেন।
হেফাজতের আমির আরো বলেন, তাকওয়াভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য ব্যাপকভাবে কুরআন ও হাদিসের শিার প্রসার ঘটাতে হবে। ঘরে ঘরে দ্বীনি শিার আলো পৌঁছে দিতে হবে। খোদাভীরু নেতৃত্ব সৃষ্টি হলে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রা হবে। অন্যায়-অনাচার, ঘুষ, দুর্নীতি-সন্ত্রাস দূর হয়ে যাবে। সাম্য ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠিত হবে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব আল্লামা হাফেজ জুনাইদ বাবুনগরী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা আনাস মাদানী, মাওলানা শফিউল আলম, মুফতি আবদুস সাত্তার প্রমুখ।