রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ হতে পারেন ইংলাক
থাইল্যান্ডের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে বিতর্কিত চাল ভর্তুকি প্রকল্পে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত করেছে। এ নিয়ে সিনেটে ভোটাভুটি হবে। তার বিরুদ্ধে অভিশংসন করা হলে তিনি পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতিতে নিষিদ্ধ হবেন।
মতার অপব্যবহারে দায়ে সাংবিধানিক আদালতের নির্দেশে বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন ইংলাক। পদত্যাগ করলেও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, অন্তত ইংলাকের সমর্থকেরা এমনটিই মনে করছেন।
কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দ্য ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন কমিশন (এনএসিসি) তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সুপারিশ করায় তাদের সেই আশা নিরাশায় পরিণত হয়েছে। কারণ এই অভিযোগে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে ইংলাককে। প্রায় একদশক ধরে থাইল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণীর সাথে ইংলাকের ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরোধ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইংলাকের পদচ্যুতি সেই বিরোধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা।
চালের মূল্যে ভর্তুকি দেয়াবিষয়ক ইংলাক সরকারের একটি প্রকল্পের কারণে রাষ্ট্রের কয়েক বিলিয়ন ডলার তি হয়। এ ঘটনায় ইংলাকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসে এনএসিসি।
বৈঠকের আগে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আজ এনএসিসির বৈঠকে চালের প্রকল্প বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক দোষী না নির্দোষ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে’।
ইংলাক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ছয় মাস ধরে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে প্রতিবাদ বিােভ হয়েছে, যা কখনো কখনো রক্তপাতে গড়িয়েছে। বিােভের মুখে পদত্যাগ না করলেও অবশেষে সাংবিধানিক আদালতের নির্দেশে ইংলাককে মতা ছাড়তে হলো।
বিধিবহির্ভূতভাবে সাবেক নিরাপত্তা প্রধানকে পদচ্যুত করায় ইংলাকের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক আদালতে মতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনে দেশটির কয়েকজন সিনেট সদস্য।
ইংলাককে বরখাস্ত করার পরও দেশটির সঙ্কট কাটেনি। বিােভকারীরা বলছে- মতাসীন দল থেকে নিয়োগ করা প্রধানমন্ত্রীকে তারা মানবে না বরং নিজেরাই নতুন সরকার নিয়োগ দেবে। এ জন্য তারা আজ শুক্রবার বড় ধরনের কর্মসূচি পালনের কথা বলেছে। তবে কী ধরনের কর্মসূচি পালন করবে তা বিস্তারিত জানাননি আন্দোলনের মুখপাত্র আকানাত প্রমফান।
আন্দোলনকারীরা বলছে, মতাসীন দল থেকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগের কোনো বৈধতা নেই। তবে, কোন আইনের ভিত্তিতে তারা নিজেরা নতুন সরকার নিয়োগ দেয়ার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করছে তাও স্পষ্ট নয়। থাই সংবিধানের একটি ধারা অনুযায়ী, এমন পরিস্থিতিতে সিনেট দেশ পরিচালনার জন্য নতুন নির্বাহী কমিটি গঠন করতে পারে। সে অনুযায়ী মতাসীন দল থেকে নিওয়াত্তুমরং বুনসংপাইসানকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।