চলন্ত বিমানের টয়লেটে ব্রিটিশ তরুণীর কান্ড
ব্রিটেনের বেসরকারি বিমানসংস্থা ভার্জিন এয়ারলাইন্সের একটি বিমান লন্ডনের গ্যাটউইক বিমান বন্দর থেকে উড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্রের লাস ভেগাসের দিকে। পথিমধ্যে ঘটলো এক মজার ঘটনা যা সে বিমানের যাত্রীদের দীর্ঘদিন মনে থাকবে।
স্বল্পবসনা এক ব্রিটিশ তরুণী তার বাবা মায়ের সঙ্গে চলেছিল লাস ভেগাস। কিন্তু তার সিটটি পড়েছিল অপর এক পুরুষের পাশে, বাবা মায়ের কাছে নয়। বিমানের পরিবেশনকৃত মদ পান করে ঐ তরুণী ও তার সহযাত্রী পুরুষ দুজনই কিছুটা মাতাল হয়ে পড়লো। একে অপরের সঙ্গে ভাব জমাতে চেষ্টা করছিল তারা।
কিছুক্ষণ পর তারা দুজনেই উঠে দাঁড়ালো। তারপর যেতে থাকলো রেস্টরুমের দিকে। মানুষ এটাতে অস্বাভাবিক কিছু দেখেনি। কিন্তু কে জানতো কিছুক্ষণের মধ্যেই মেয়েটির যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে রীতিমতো স্টুয়ার্ডদের ডাকতে হবে?
দুজনেই সবার অলক্ষ্যে একই রেস্টরুমে ঢুকে দরজা আটকে দিয়ে, আদিম আনন্দে মত্ত হলো। ব্যাপারটা সবার কর্ণগোচর হলো তখনই যখন মেয়েটি তার এ নতুন অভিজ্ঞতাকে একের পর এক বিকট চিৎকার ছাড়া প্রকাশ করতে পারছিল না।
তার চিৎকার বিমানের অপর যাত্রীদের জন্যে ক্রমেই ভীষণ বিব্রতকর হয়ে উঠলো। একসময় সহ্যক্ষমতা হারিয়ে তারা স্টুয়ার্ডদের কাছে ঘটনাটি ব্যখ্যা করে সাহায্য চাইলো, স্টুয়ার্ডরা এগিয়ে এলো।
শেষ পর্যন্ত দরজা ভেঙে প্রবেশ করতে হলো স্টুয়ার্ডদের। যাত্রীদের কর্ণপীড়া সৃষ্টির জন্যে আটক করা হলো তরুণীটিকে। হাতে পরানো হলো হাত কড়া।
লাসভেগাসে নামার পর পুলিশ তাকে অল্প কিছু প্রশ্ন করে, বাকি জীবনের জন্যে সতর্ক করে ছেড়ে দিল।
ভার্জিন এয়ারলাইন্সে কুমারীত্ব খোয়ানো তরুণীটির কথা, নামজনিত কাকতালের কারণে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে যাত্রীদের মাঝে।