কেবল ইরান ও রাশিয়ারই আছে বিশ্বের দ্রুততম টর্পেডো
ইরানের রণতরীগুলোতে সর্বাধুনিক যুদ্ধাস্ত্র ও দ্রুতগামী ক্ষুদ্র নৌযান যোগ করার প্রক্রিয়া দিন দিন জোরদার হচ্ছে। ইসলামী এই দেশটির নৌবাহিনীর রয়েছে সবচেয়ে দ্রুতগামী টর্পেডো বা পানির নিচে ব্যবহারযোগ্য স্বয়ংক্রিয় ক্ষেপণাস্ত্র যা বিশ্বে ইরান ছাড়া কেবল আর একটি দেশের কাছে রয়েছে।
ইরানের ইসলামী বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসি’র নৌ শাখার প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী ফাদাভি বলেছেন, কয়েক বছর আগে ‘হুউত’ নামের এই ইরানি টর্পেডো কয়েকটি সামরিক মহড়ায় প্রদর্শন করা হয় তখন বিশ্বের দুই হাজারেরও বেশি সংবাদ সংস্থা এই খবরটি প্রচার করেছিল।
তিনি বলেন, ইরানের এই ডুবো-ক্ষেপণাস্ত্রের গতি প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মিটার এবং ঘণ্টায় ৩৬০ কিলোমিটার।
ফাদাভি জানান, বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এই ক্ষেপণাস্ত্র ইরান ছাড়া কেবল রাশিয়ার কাছেই রয়েছে। সর্বপ্রথম রাশিয়াই এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করে। আমেরিকা গত ১৫ বছরে এই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণের জন্য দুই হাজার কোটি ডলার খরচ করেও তা নির্মাণে ব্যর্থ হয়েছে বলে তিনি জানান।
সম্প্রতি কৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হরমুজ প্রণালীতে মার্কিন রণতরী ধ্বংসের মহড়া চালিয়েছে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর নৌ-শাখা। কমান্ডার জামানি বলেছেন, বিশ্বের সবাই এটা জানে যে মার্কিন নৌবাহিনীকে ধ্বংস করাই আইআরজিসি’র নৌ শাখার অন্যতম প্রধান সামরিক লক্ষ্য।
তিনি বলেছেন, মার্কিন রণতরীগুলোকে ধ্বংস করা আমাদের জন্য খুবই সহজ, কারণ সেগুলোর গঠন-কাঠামো, ডিজাইন ইত্যাদি সম্পর্কে অত্যন্ত বিস্তারিত, নির্ভুল ও খুঁটিনাটি সব তথ্য আমাদের জানা রয়েছে। ইরানি রণতরীর স্পিডবোট ও ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন রণতরীগুলোকে ধ্বংস করতে সক্ষম বলে তিনি জানান। পারস্য উপসাগরের হরমুজ প্রণালী দিয়ে বিশ্বের জ্বালানি তেলের প্রায় অর্ধেকই পরিবহন করা হয়। ইরানের পানিসীমায় অবস্থিত এই প্রণালীর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসলামী এই দেশটির হাতে।