৩ র‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারে হাইকোর্টের নির্দেশ

নারায়ণগঞ্জের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, আইনজীবী চন্দন সরকার সহ সাতজনকে অপহরণের পর খুনের ঘটনায় আকালীন বাধ্যতামূলক অবসর দেয়া তিন র‌্যাব কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
রবিবার এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মো. খুরশীদ আলম সরকারের যুগ্ম-বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
সাত খুনের ঘটনায় র‌্যাব-১১এর তৎকালীন অধিনায়ক, মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন মায়া’র জামাতা লে. কর্নেল তারেক সাইদ, মেজর আরিফ এবং নারায়ণগঞ্জ ক্যাম্পের সাবেক প্রধান লে. কমান্ডার এম এম রানাকে গ্রেপ্তারে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেয়া হয়।
তদন্ত প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণে সাবেক একজন প্রধান বিচারপতি অথবা আপিল বিভাগের বর্তমান একজন বিচারপতির নেতৃত্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষে রোববার এ আদেশ দেন বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মুহাম্মদ খুরশিদ আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ। রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ড. কামাল হোসেন।
সকালে রিট আবেদনটি দায়ের করেন নিহত আইনজীবী অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা ডা. বিজয় কুমার পাল, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাখাওয়াত হোসেন খান ও আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীর নির্বাহী সভাপতি মাহবুবুর রহমান ইসমাইল।
রিটে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, জনপ্রশাসন সচিব ও জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানকে।
প্রসঙ্গত বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে গত ৫ মে এ তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। র‌্যাবের সহযোগিতায় সাতজনকে অপহরণের পর হত্যার ঘটনায় ৬ কোটি টাকা লেনদেনের অভিযোগ ওঠার পর হাইকোর্টের এ নির্দেশ আসে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় র‌্যাব-১১ এর কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ করেন নিহত প্যানেল মেয়র নজরুলের পরিবারের সদস্যরা। প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র‌্যাবকে দিয়ে ওই সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন নূর হোসেন। এ অভিযোগের পর ৠাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ, সাবেক অধিনায়ক মেজর আরিফ হোসেন ও লে. কমান্ডার এম এম রানাকে চাকরিচ্যুত করা হয় গত ৬ মে।  এর পরপরই এই তিন সাবেক সেনা কর্মকর্তাকে সেনাবাহিনীর লঘ এরিয়ায় অন্তরীন করা হয়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button