ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে গণভোট অনুষ্ঠিত
রুশপন্থীদের আহ্বানে রোববার পূর্ব ইউক্রেনে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র এই গণভোটকে ‘অবৈধ’ আখ্যায়িত করেছে। এই গণভোটের ফলে ইউক্রেনে গৃহযুদ্ধ বেধে যেতে পারে বলে পশ্চিমা দেশগুলো আশঙ্কা করছে।
দুইটি প্রদেশে গণভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রদেশগুলোর ১২টিরও বেশি শহর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই গণভোটের ফলে ইউক্রেনের রাজনৈতিক সঙ্কট আরো ঘনীভূত হতে পারে। ইউক্রেনের এ সঙ্কটকে কেন্দ্র করে রাশিয়ার সাথে পশ্চিমাদের সম্পর্কে স্নায়ুযুদ্ধ-পরবর্তী যেকোনো সময়ের চেয়ে সব চেয়ে খারাপ অবস্থা বিরাজ করছে।
রোববার সকাল থেকে শুরু হয় গণভোট। ইউক্রেন সরকার এবং পশ্চিমা দেশগুলোর তীব্র বিরোধিতা সত্ত্বেও দোনেতস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্রের রুশপন্থী নেতারা ইউক্রেন থেকে স্বাধীন হওয়ার জন্য এই নির্বাচনের আয়োজন করেন।
এ দিকে ভোট শুরু হওয়ার পরপরই বিদ্রোহীতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত স্লাভিনস্কের শহরতলিতে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। ভোট দিয়ে বুথকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসা ২০ বছরের জেনিয়া দেনিয়েশ নিজের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, ‘আমি সকাল সকাল ভোট দিতে চাইছিলাম। আমরা সবাই এখন নিজ দেশে স্বাধীনভাবে বসবাস করার জন্য অধীর আগ্রহে অপো করছি।’ রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের ভোট স্থগিতকরণের আহ্বান উপো করে দোনেতস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলের স্বঘোষিত নেতারা নির্বাচন চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ধরনের এক গণভোটের মধ্য দিয়েই গত মার্চ মাসে ইউক্রেন থেকে আলাদা হয়ে রাশিয়ায় যোগ দিয়েছে ক্রিমিয়া। যে দুইটি প্রজাতন্ত্রে গণভোট অনুষ্ঠিত হলো তার অন্তত ১২টি শহর রুশপন্থীদের দখলে রয়েছে।