মন্ত্রিসভার বৈঠকে যাননি মায়া
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের ঘটনায় জামাতার সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ উঠার পর থেকে দলীয় কর্মসূচি ও দাপ্তরিক কাজ এড়িয়ে চলার পর ত্রান ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকেও অংশ নেননি। গত সোমবারের বৈঠকেও তিনি গরহাজির ছিলেন।
আলোচিত সেভেন মার্ডারের ঘটনায় র্যাব-১১এর অধিনায়ক কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদসহ তিন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সরাসরি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনেছে নিহতদের পরিবার। তাদের মধ্যে তারেক সাঈদ মন্ত্রী মায়ার জামাতা।
ইতোমধ্যে তিন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠিয়েছে নিজ নিজ বাহিনী। হাইকোর্টের নির্দেশনা পাওয়ার পর তাদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানায়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অংশ না নিতে পারলে তা আগেই জানাতে হয়। তবে মায়া তা করেননি। বৈঠকের এজেন্ডার ফোল্ডারও তিনি গ্রহণ করেছেন। এছাড়া সচিবালয়ের নিজ দফতরেও আসছেন না। তার একান্ত সচিব ফাইল নিয়ে বাসায় যাচ্ছেন। সেখানেই প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন এই মন্ত্রী। এছাড়াও তার দফতরের অন্যান্য কর্মকর্তারাও মন্ত্রীপাড়ার ২৪ বেইলী রোডের বাসায় গিয়ে সিদ্ধান্ত জানছেন।
নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনায় র্যাবের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তুলেন নিহত কাউন্সিলর নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম।
তিনি বলেন, র্যাব ছয় কোটি টাকা নিয়ে সাতজনকে হত্যা করেছে। মন্ত্রী মায়ার ছেলে দীপু চৌধুরী এ অর্থ লেনদেনে মধ্যস্থতা করেন বলেও অভিযোগ করেন সাবেক এই ইউপি চেয়ারম্যান।
এসব অভিযোগ উঠার পর মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বিবৃতি দিয়ে দাবি করেন এ ঘটনায় অভিযুক্তদের সাথে তার পরিবারের কারো যোগাযোগ ছিল না। নিহতদের স্বজনদের মতো তিনিও হত্যাকারীদের বিচার প্রত্যাশা করেন।