ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে মাদকের ব্যবহার বেড়েছে
ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীতে মাদকের ব্যবহার সর্বকালের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। নতুন এক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। জরিপে বলা হচ্ছে- ২০০৭ সালে ‘প্রতিরক্ষা চিকিৎসা তথ্য সক্ষমতা কর্মসূচি’ চালুর পর বর্তমানে ব্রিটিশ সামরিক বাহিনীর মধ্যে মাদকাসক্তির সংখ্যা যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। তথ্য অধিকার আইনের আওতায় ব্রিটেনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গতকাল (রোববার) এ জরিপ প্রকাশ করেছে।
জরিপে দেখা যায়- গত বছর ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর ১,৬০০ সদস্যকে মাদক-সংক্রান্ত জটিলতার কারণে চিকিৎসা দিতে হয়েছে। জরিপে আরো বলা হয়েছে- মাদকাসক্তির কারণে সেনাদের মধ্যে হৃদরোগ, অ্যালকোহল-বিষক্রিয়া, ফুসফুসের রোগ এবং মদ্যপান থেকে সৃষ্ট মানসিক রোগের মতো নানা জটিলতা দেখা দিচ্ছে। এ কারণে ২০১২-১৩ সালে সামরিক বাহিনীর মধ্যে মাদক সংক্রান্ত চিকিৎসার ঘটনা শতকরা ২৮ ভাগ বেড়ে গেছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে ১৩ হাজার সেনাকে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তবে, ধারণা করা হচ্ছে সরকারি এ তথ্যে বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে নি; আসল অবস্থা এর চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ। এ নিয়ে খোদ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ই বলেছে, জরিপ তথ্যকে সবচেয়ে কম বলে গণ্য করাই সঠিক হবে।
ব্রিটিশ সেনাবাহিনীতে মাদকের অপব্যবহার নিয়ে লেবার দলের এমপি এবং প্রতিরক্ষা মনোনয়ন কমিটির সদস্য মেডেলিন মুন বলেছেন, অভ্যন্তরীণ সহিংসতা, যৌন নির্যাতন এবং মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে মদপান-সংস্কৃতির প্রভাব পড়ছে।