অচিরেই জিএসপি ‘ফিরে পাবে’ বাংলাদেশ : মজীনা
পোশাক খাতে পরিবর্তন অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার (জিএসপি) সুবিধা ফিরে পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজীনা।
সোমবার মাগুরা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সুধী সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে এই আশা প্রকাশ করেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, “গার্মেন্ট শিল্পে কাজের পরিবেশ ও আন্তর্জাতিক মানের শ্রম অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে এখানকার কারখানাগুলোতে রানা প্লাজা, তাজরিন ফ্যাশন্সের মতো মর্মান্তিক দুর্ঘটনা আর না ঘটে।”
তিনি বলেন, “আমরা মনে করি- বাংলাদেশ বস্ত্রখাতে অনেক বেশি পরিবর্তন এনেছে। এই পরিবর্তন অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ তার জিএসপি সুবিধা অচিরেই ফিরে পাবে।”
প্রসঙ্গত, গাজীপুরে তাজরিন ফ্যাশনে আগুন ও সাভারে রানা প্লাজা ধসে সহাস্রধিক পোশাক শ্রমিকের মৃত্যুর ঘটনার পর গত বছরের ২৬ জুন মার্কিন বাজারে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করে দেয় ওবামা সরকার। এই সুবিধা ফিরে ফিতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে কর্ম-পরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৬টি শর্ত বেঁধে দেয় মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি কার্যালয় বা ইউএসটিআর কর্তৃপক্ষ।
জিএসপি ফিরে পেতে বেঁধে দেয়া শর্ত পূরণের ‘অগ্রগতি প্রতিবেদন’ গত ১৫ এপ্রিল ইউএসটিআরে পাঠানো হয়। সেদিন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে ১৬টি শর্তের অধিকাংশই পূরণ করা হয়েছে। এখন রাজনৈতিকভাবে বিবেচনা না করে অর্থনৈতিকভাবে বিবেচনা করলে আমরা জিএসপি সুবিধা ফিরে পাবো।”
সোমবার মতবিনিময় সভায় ‘আমার কাছে জিএসপি বড় বিষয় নয়’- একথা উল্লেখ করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মজীনা বলেন, “আমি স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের বস্ত্রশিল্প পৃথিবীর মধ্যে ১নং রফতানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় স্থান করে নেবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে যেভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন হচ্ছে তাতে করে খুব শিগগিরই এ দেশটি এশিয়ার বাঘ হিসেবে চিহ্নিত হবে। আর যুক্তরাষ্ট্র সেটাই দেখতে চায়।”
মার্কিন রাষ্ট্রদূত পরে মাগুরার সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন।