সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ বাড়লেও অভিবাসীরা ভোগান্তিতে

Bishwaসৌদি আরবে অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমার মেয়াদ চার মাস বাড়ানো হলেও এ প্রক্রিয়ায় চলছে ধীরগতি। ফলে বিভিন্ন দেশের অনেক অভিবাসী তাদের কাগজপত্র সংশোধন করাতে মারাত্মক হয়রানির শিকার হচ্ছেন। কেউ এরই মধ্যে বিপুল পরিমাণের অর্থ খরচ করেছেন শুধু দৌড়াদৌড়ি করতে গিয়ে। তারপরও সদুত্তর পাচ্ছেন না। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব নিউজ। এতে বলা হয়, স্পন্সরশিপ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অভিবাসীদের যেসব কাগজপত্র জমা দিয়ে তার বৈধতা নিতে হয় সেক্ষেত্রে পাসপোর্ট বিভাগ, দূতাবাস ও স্পন্সরের গাফিলতি স্পষ্ট। এমনই এক অভিবাসী ইন্দোনেশিয়ার ক্রিস আব্রাহ। তিনি পরিচারিকার কাজ করেন। বলেছেন, গত দু’মাস ধরে তিনি স্পন্সরশিপ পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, আমি মেডিকেল রিপোর্ট সহ সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করেছি। এমনকি বিলম্ব ফি দিয়েছি। গত দু’মাসে আমার ১১ হাজার রিয়াল খরচ হয়ে গেছে। কিন্তু এখনও নতুন আকামা পাইনি। তিনি বলেন, যখন ফি দিয়ে পাসপোর্ট অফিসের ভিতরে প্রবেশ করি দেখতে পাই সেখানে খুব ভিড় নেই। তা সত্ত্বেও সেখানে কাজ চলছে ঢিলেভাবে। মিশরের নাগরিক দাহি আমিন ট্রাকচালক। তিন বছর তিনি অবৈধভাবে জেদ্দায় অবস্থান করছেন। তিনি বলেছেন, দু’মাস আগে আমি একজন নতুন স্পন্সর খুঁজে পেয়েছি। কিন্তু এখনও নতুন আকামা বুঝে পাইনি। দু’মাস ধরে আমি স্পন্সর পরিবর্তনের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আকামা না পাওয়ায় তা হয়ে উঠছে না। পাসপোর্ট অফিস ও মিশরীয় কনসুলেটে জমে আছে প্রচুর কাজ। কিন্তু পবিত্র রমজানের অজুহাতে সেখানে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়েছে। ফলে রমজানের পরে আবার যে প্রচণ্ড ভিড় হবে সেই ভিড়ে আবার আমাকে শামিল হতে হবে। ইথিওপিয়ার নাগরিক সুমাইয়া হাসানও তার স্পন্সর পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেছেন, তাদের দূতাবাস তার ডকুমেন্ট ঠিকঠাক করে দিতে বিলম্ব করছে। তিনি এ কাজ নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছেন তিন মাস। তিনি ভেবেছিলেন রমজানে কাজের চাপ কম থাকে তাই এ সময়ে সব ঠিক করিয়ে নেবেন। কিন্তু এক্ষেত্রে তার স্পন্সর সাড়া পায়নি যথাযথ সময়ে। অতি সমপ্রতি তিনি আমার এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি একজন দালাল ধরেছেন। আমার কাছে ওই দালাল চেয়েছে ১৫ হাজার রিয়াল।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button