নারায়ণগঞ্জে নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা
খুনের দায় এড়াতে পারেন না প্রধানমন্ত্রী : খালেদা জিয়া
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থেকে নারায়ণগঞ্জের সাত গুম-খুনের দায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। মঙ্গলবার নিহতদের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে নারায়ণগঞ্জে এমন মন্তব্য করেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।
দুপুরে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মিজিমিজি এলাকায় অপহরণ ও পরে খুন হওয়া প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের বাসায় যান খালেদা জিয়া। সেখানে নিহত তাজুল, লিটন, স্বপন ও জাহাঙ্গীরের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাতজন নয়, খুন হয়েছিলেন ১১ জন
পরে সাংবাদিকদের বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘এই বাহিনী এখন জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। এদের আর প্রয়োজন নেই। র্যাব যত দিন থাকবে, ততোদিন গুম-খুনের আতঙ্ক থাকবে। দেশে শান্তি থাকবে না।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং অব্যাহত গুম-খুনের ঘটনা উল্লেখ করে সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে পদত্যাগ করুন। না হলে মানুষ রাস্তায় নেমে আসবে। তারাই আপনাদের পতন ঘটাবে।’
খালেদা জিয়া দাবি করেন, নারায়ণগঞ্জে আসলে সাতজন নয় ১১ জন খুন হয়েছে। বাকি চারজন গরিব বলে তাদের কথা কেউ বলেনি।
তিনি বলেন, আইনজীবী চন্দন সরকার ও তার গাড়িচালক এই অপহরণের ঘটনা দেখে ফেলায় তাদের গুম করে হত্যা করা হয়। তাদের কোনো দোষ ছিল না।
র্যাব সারাদেশে গুম-খুনে নেমেছে অভিযোগ করে ১৯-দলীয় জোটনেত্রী বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে র্যাব-১১ জড়িত। র্যাব-১১ এর শীর্ষ কর্মকর্তা আওয়ামী লীগের এক মন্ত্রীর মেয়ে-জামাই। তাকে এখনও জামাই আদরে রাখা হয়েছে।’
জড়িতদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম
নিহত নজরুল ইসলামের বাসা থেকে খালেদা জিয়া আইনজীবী চন্দন সরকারের বাসায় যান। সেখানে চন্দন সরকারের গাড়িচালক ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে সাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত খুনিদের আজকের মধ্যে গ্রেপ্তারের আল্টিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘আদালত দুদিন আগে খুনিদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। খুনিদের এতো শক্তি কোথায়?
এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবন থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হন। বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে দলের বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাও নারায়ণগঞ্জ যান। সেখানে স্থানীয় নেতাকর্মীরা তাদের স্বাগত জানান।