তুরস্কে কয়লা খনিতে বিস্ফোরণে দুই শতাধিক নিহত
তুরস্কের পশ্চিমাঞ্চলে একটি কয়লার খনিতে বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮ জনে। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে আশঙ্কা করা হচ্ছে। খনির ভেতরে এখনো দুই শতাধিক শ্রমিক আটকা পড়ে আছেন। তাদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধার কর্মীরা। দুর্ঘটনার সময় খনির ভেতরে ৭৮০ জন শ্রমিক কাজ করছিলেন বলে জানা গেছে।
তুরস্কের মানিসা প্রদেশের সোমা শহরে এই খনিটিতে বিস্ফোরণের পরেই আগুন ধরে যায়। ব্যক্তি মালিকানাধীন এই খনিটি রাজধানী আঙ্কারা থেকে ৪৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত।
দেশটির বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী তানের ইলডিজ বলেছেন, কার্বন মনোঙাইডের বিষক্রিয়া এ হতাহতের কারণ হতে পারে। তিনি বলেন, সোমার খনিতে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনা ঘটে গেছে।
বৈদ্যুতিক ত্রুটির পর সেখানে আগুন ধরে যায়। বিস্তারিত তথ্য দেয়ার আগে আমি মনে করি সেখানে আমার আগে যাওয়া উচিত।
টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে সেখানে আটকে পরা শ্রমিকদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন।
উদ্ধার কর্মীরা যাদেরকে বের করতে পারছে তাদের বেশির ভাগেরই হাঁটার ক্ষমতা নেই। তাদেরকে স্ট্রেচারে করে নেয়া হচ্ছে।
এ দুর্ঘটনার কারণে প্রধানমন্ত্রী রেসেপ তায়েপ এঁর্দোগান তার আলবেনিয়া সফর বাতিল করেছেন। তার পরিবর্তে তিনি খনি পরিদর্শন করেছেন। তিনি তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন।
তুরস্কের ইতিহাসে এটা অন্যতম ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনা। এ ঘটনার প্রতিবাদে আঙ্কারা ও ইস্তাম্বুলে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়েছে।। এর আগে ১৯৯২ সালে দেশটিতে সবচেয়ে ভয়াবহ খনি দুর্ঘটনায় ২৭০ জন নিহত হয়েছিল।