১২ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ দেড় শতাধিক
মেঘনায় ৩০০ যাত্রী নিয়ে লঞ্চ ডুবি
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকার মেঘনায় ডুবে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ এম ভি মিরাজ-৪ থেকে এ পর্যন্ত ১২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে অন্তত দেড় শতাধিক।
রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত লঞ্চের অবস্থান নিশ্চিত করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এখন চলছে উদ্ধারের তৎপরতা।
বিকাল পৌনে ৩টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে অন্তত তিনশ’ যাত্রী নিয়ে এম ভি মিরাজ-৪ নামে একটি যাত্রীবাহী লঞ্চ যাত্রা শুরু করে। লঞ্চটি ঢাকা থেকে শরিয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর ঘাটে যাচ্ছিলো।
এ পর্যন্ত ১২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে নড়িয়া উপজেলার সুরেশ্বরর গ্রামের জালাল শিকদার (৫৫), ছেলে আবিদ শিকদার (২৮), পাচগাও গ্রামের টুম্পা বেগম (২৬), তার ছেলে মাহি (২), রাহাপাড়া গ্রামের সুমনা (৮) ও সেতারা বেগম (৫০), দক্ষিণ হারিসার গ্রামের লঞ্চের ফেরিওয়ালা শিক মালয় (৪২), পরিসার গ্রামে মাহি (৪) সুরেশ্বর গ্রামের ২ বছরের শিশু আরিফ রয়েছেন। বাকি ৪ জনের মধ্যে ৩ জন মহিলা ও ১ জন পুরুষ মরদেহের পরিচয় পাওয়া যায়নি। লাশগুলো দৌলতপুরের মেঘনা নদী পাড়ে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
গজারিয়া থানার ওসি (তদন্ত) সিদ্দিকুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত লঞ্চের ১২ যাত্রীকে জীবিত উদ্ধার ও ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো আনুমানিক নিখোঁজ রয়েছে দেড় শতাধিক যাত্রী। লাশগুলো দৌলতপুরের মেঘনা নদী পাড়ে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, লঞ্চ ডুবির ঘটনার সংবাদ পাওয়ার পর পর ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। তিনি জানায়, লঞ্চটিতে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ জন যাত্রী ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এদিকে, লঞ্চ ডুবির ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে শরীয়তপুরের শুরেশ্বর ঘাটে ভীড় জমিয়েছে স্থানীয় হাজারো জনতা। স্থানীয় সাংবাদিক জামাল মল্লিক জানান, ঘটনা শোনার পরপরই স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীরাসহ স্থানীয় মানুষ পাড়ে ভিড় জমিয়েছে। অনেকেই তার স্বজনদের খোঁজ খবর নিচ্ছেন।