ব্রাজিলে আবারও বিশ্বকাপবিরোধী বিক্ষোভ
আর মাত্র ২৬ দিনের অপেক্ষা। এরপরই ব্রাজিলে শুরু হয়ে যাবে বিশ্বকাপ ফুটবলের মহাযজ্ঞ। গোটা বিশ্বই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ প্রত্যক্ষ করার জন্য। আয়োজক ব্রাজিলও শেষ মুহূতের্র প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। কিন্তু দেশটির কিছু মানুষ হাঁটছে উল্টোপথে। বিশ্বকাপবিরোধী বিক্ষোভে মেতেছে তারা। পরশু সাও পাওলো, রিও ডি জেনিরোসহ বেশ কয়েকটি শহরে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। টায়ার জ্বালিয়ে করেছে বিশ্বকাপের বিরোধিতা। তাদের দাবি, আগে মৌলিক চাহিদাগুলো মেটাও, পরে বিশ্বকাপ।
এমন আন্দোলন এই প্রথম নয়। গত বছর বিশ্বকাপের ড্রেস রিহার্সেলখ্যাত ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ চলাকালীন থেকেই এমন বিক্ষোভের সূত্রপাত। তখনও রাস্তায় নেমে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছিল। তাদের অভিযোগ, বিশ্বকাপের জন্য বিশাল অঙ্কের টাকা খরচ করলেও ব্রাজিলিয়ানদের চিকিত্সা-বাসস্থান-পরিবহন ব্যবস্থা উন্নয়নের দিকটি সরকার উপেক্ষা করেছে। পরশু বিক্ষোভেও একই দাবি করেছে ব্রাজিলিয়নরা। যেখানে অংশ নিয়েছিল শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সরকারি চাকরিজীবীরাও। তবে এবারের বিক্ষোভটি আকারে বেশ বড়ই ছিল। যারা সমবেত হয়েছিল সাও পাওলো শহরের কোরিন্থিয়ান্স স্টেডিয়ামের পাশে। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে স্লোগান দেয় তারা। এই ভেন্যুতেই অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ। শুধু সাও পাওলো নয়, রিও ডি জেনিরো ও রাজধানী ব্রাসিলিয়াতেও সড়ক অবরোধ করে ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছে ব্রাজিলের সাধারণ মানুষ।
সাও পাওলোতে বিভিন্ন ব্যানার-প্ল্যাকার্ড নিয়ে হাজির হয়েছিল বিক্ষোভকারীরা। তবে নজর কেড়েছে ভূতসদৃশ্য একটি মূর্তি, যার শরীর হাড্ডিসার কিন্তু মাথায় বিশ্বকাপের ট্রফি। এর মাধ্যমে বিক্ষোভকারীরা বোঝাতে চেয়েছেন, দেশের জনগণের অবস্থা শোচনীয়, সেখানে মাল্টি মিলিয়ন ডলার খরচ করে বিশ্বকাপ আয়োজন বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। অবশ্য ব্রাজিল সরকার এই বিক্ষোভের সঙ্গে বিশ্বকাপের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই মন্তব্য করেছে।
ব্রাজিলের ক্রীড়ামন্ত্রী আলডো রেবেলো বলেছেন, আমি যা দেখেছি, তাতে মনে হয়েছে শ্রমিকদের নির্দিষ্ট কিছু দাবি দাওয়া আছে। এর সঙ্গে বিশ্বকাপের কোনো সম্পর্ক নেই। বিশ্বকাপ দেখতে আসা পর্যটকদেরও উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। নির্বিঘ্নেই অনুষ্ঠিত হবে বিশ্বকাপ ফুটবল।