৪০ হাজার ডলার ফেরত দিয়ে বিখ্যাত !
নিউইয়র্ক শহরের নিউ পালজ এলাকায় এক বাড়িতে ভাড়া থাকেন তিন বন্ধু-রেসে ওয়ের্কহোভেন, গ্যালি গুয়াস্তি এবং লারা রুশো। মাত্র ২০ ডলার দিয়ে তারা একদিন একটি পুরনো সোফা কিনে আনলো। এরপর এটি সাফ সুতরো করার কাজে লেগে গেল তিনজন। কিন্তু সেফার গদি উল্টাতেই তাদের ছোখ ছানাবড়া। সেখানে পড়ে আছে ডলার ভর্তি খাম। একটি দুটি নয়, বেশ কয়েকটি খাম। সবমিলিয়ে ৪০ হাজার ডলার।
তাই বলে ভাববেন না টাকা পেয়ে তারা খশিতে আটখানা হয়ে গেছে। বরং তারা ভাবছে কার টাকা এগুলো, তাকে তো ফিরিয়ে দিতে হবে। এরপর খুঁজে পেতে একটি খাম থেকে মিলল মালিকের নাম-ঠিকানা । ঠিকানা খুঁজে বের করে তারা সোজা ছুটে গেলো সেখানে। তাদের দেখে তো নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না ওই মহিলাটি। এই টাকা ছিল তার বৃদ্ধ জীবনের একমাত্র সঞ্চয়। স্বামী বেঁচে থাকতে তাকে প্রতি সপ্তাহে খামে করে এসব অর্থ তাকে দিতেন।তিনি সেগুলো যত্ন করে সোফার নিচে লুকিয়ে রাখতেন। গত কয়েক বছর ধরে এগুলো সেখানেই পড়েছিল। হৃদরোগে আক্রান্ত একদির স্বামী মারা গেলেন। নিজের বৃদ্ধ হলেন। কিন্তু টাকার খাম আর সরানো হয়নি তার। অসুস্থ হয়ে দিনকয়েক হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তখন তার মেয়ে ভাবলো,‘পুরনো সোফা কী আর কাজে লাগবে!’ দিলেন বিক্রি করে।
এভাবে লোভের উর্ধে ওঠে অর্থ ফিরিয়ে দিয়ে বিখ্যাত হয়ে গেছেন তিন বন্ধু। সম্প্রতি এ ঘটনা স্থানীয় ‘দা লিটল রিবেলিয় ‘ ব্লকে প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে রেসে ওয়ের্কহোভেন বলেন,‘টাকাগুলো পাওয়ার পর আমরা তিনজন প্রকৃত মালিকের কাছে এগুলো ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেই। কেননা এগুলো তার সম্পদ-আমরা অর্জন করিনি।’ এ সম্পর্কে অন্য বন্ধু গ্যালি গুয়াস্তি লেখেন,‘এগুলোই ছিল তার জীবনের একমাত্র সঞ্চয়। তার স্বামী তার জন্য রেখে গিয়েছিলেন। খোয়া যাওয়া অর্থ ফেরত পেয়ে তিনি যে কত খুশি হয়েছেন তা চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন!’
খুশি হয়ে ওই বৃদ্ধা তিন তিন বন্ধুকে এক হাজার ডলার বকশিশ দিয়েছেন।
সত্যি, এদের মতো এমন সৎ মানুষ আছে বলেই হয়ত পৃথিবীটা এখনো এত সুন্দর!