ভারতের নির্বাচন থেকে যা শিখলেন ফারুকী
আমি ভারতের গণতন্ত্রের খুবই ভক্ত। আমরা সবাই যেমনটা জানি, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য হলো- এটা জনগণকে তাদের নিজেদের সরকার বেছে নেয়ার সুযোগ দেয়। তবে ঝুঁকিটা এই যে, তারা নির্বোধ একজনকেও বেছে নিতে পারে। তবে এই ঝুঁকি নিয়েই একজনকে বাঁচতে হবে।ভারতের সদ্য সমাপ্ত ১৬তম লোকসভা নির্বাচন এবং ফলাফল সম্পর্কে নিজের পর্যবেক্ষণ এভাবেই ফেসবুক ফ্যানপেজে তুলে ধরেন হালের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী।
তিনি বলেন, ‘আমরা ভৌগোলিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং মনস্তাত্বিকভাবে ভারত দ্বারা পরিবেষ্টিত। বিষয়টি অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তাই যে কেউ একজন ভারতের নির্বাচনে নজর রাখবে এটাই স্বাভাবিক। এক্ষেত্রে আমিও ব্যতিক্রম নই এবং এই নির্বাচন থেকে আমি কিছু বিষয় শিখেছি:এক. ‘ধর্মীয় কট্টরপন্থিদের (ক্ষমতা থেকে) দূরে রাখার’ ইস্যু খাড়া করে দীর্ঘদিন ফায়দা নেয়া যায় না। কট্টরপন্থিদের ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে হলে বস্তুতঃ আপনাকে সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে।দুই. ভারত মনে করে ক্ষমতায় বসানোর জন্য তাদের একটি ধর্মীয় কট্টরপন্থি শক্তি আছে, কিন্তু বাংলাদেশের এমনটা থাকা উচিত নয়।মজার বিষয় হলো-কোন বিষয়টি মুসলিম কট্টরপন্থা থেকে হিন্দু কট্টরপন্থাকে ভালো করেছে তা ভেবে আমি অবাক হই। আমাদের ৫ জানুয়ারির নাটকীয় নির্বাচনের আগে, বহু ভারতীয় কর্মকর্তার প্রতিদিন ভেতরে-বাইরে দৌড়াদোড়ি আমার খুবই মনে পড়ে। ওই সময় ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেছিলেন, তারা ইসলামি কট্টরপন্থিদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না (যদিও বাস্তবে জামায়াতে ইসলামের এককভাবে ক্ষমতায় যাওয়ার সামর্থ্য নেই)। তার মতো আমরাও চাই না- কট্টরপন্থিরা বাংলাদেশের ক্ষমতা দখল করুক।কিন্তু ওহে, অন্যকে ওয়াজ-নসিহত করার আগে, তোমার নিজের ঘরটা ঠিকঠাক আছে কিনা তা অবশ্যই নিশ্চিত করা উচিত ছিল না?ভারতে নিযুক্ত আমাদের রাষ্ট্রদূত ভারতীয় নেতৃবৃন্দ এবং সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কি বলেছিলেন, ‘শোনো, আমরা হিন্দু কট্টরপন্থিদের ক্ষমতায় দেখতে চাই না? তারা কি কখনো আমাদের এটা বলতে দেবে?এর আগে গত ৯ মে নিজের ফেসবুক ফ্যানপেজে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে ‘দাদাবাড়ির মাঝি নাদের আলী…’ শীর্ষক পোস্ট দিয়ে ফের আলোচনায় আসেন ফারুকী। তার ওই পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোতে রীতিমত ঝড় তোলে।