নূরের ঘনিষ্ঠ নীলা কাউন্সিলর গ্রেপ্তার
অপহরণ করে চাঞ্চল্যকর সাতজনকে হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড কমিশনার জান্নাতুল ফেরদৌস নীলাকে আটক করেছে পুলিশ।
রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় নারায়ণগঞ্জ শহরের হাজীগঞ্জ এলাকার ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে থেকে তাকে জেলা গোয়েন্দায় পুলিশের (ডিবি) একটি টিম আটক করে।
নীলা এ মামলার প্রধান আসামি পলাতক কাউন্সিলর নূর হোসেনের ঘনিষ্ঠজন বলে পরিচিত।
গ্রেপ্তারের আগে বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সার্কিট হাউজে সুশীল সমাজের লোকজনদের গণশুনানিতে অংশ নেন নীলা। সেখান থেকে বেরিয়ে একটি মাইক্রোবাসে সিদ্ধিরগঞ্জ যাওয়ার পথে তাকে আটক করা হয়।নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের একটি সূত্র নীলাকে আটকের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
আলোচিত এ হত্যাকাণ্ডের পর খবরে আসেন নূর হোসেনের ঘনিষ্ট নীলা। পরে অবশ্য নীলা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘নূর হোসেন তাকে রক্ষিতা বানাতে চেয়েছিল।’
নীলাকে বিভিন্ন সময়ে ৩৫ লাখ টাকা মূল্যের গাড়ি উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া নূর হোসেনের কারণে নীলা তার স্বামীকেও ডিভোর্স দিয়েছেন।
গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ সিটির কাউন্সিলর নজরুল ইসলামসহ সাতজন অপহৃত হন। তিনদিন পর তাদের লাশ শীতলক্ষ্যা নদী থেকে উদ্ধার করা হয়।
নিহত প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলামের শ্বশুর শহীদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান গত ৪ মে অভিযোগ করেন, ৬ কোটি টাকার বিনিময়ে র্যা বকে দিয়ে ওই সাতজনকে হত্যা করিয়েছেন কাউন্সিলর নূর হোসেন।
এই ঘটনার পর হাইকোর্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন র্যা ব-১১ তিনজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।
আদেশের পর সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশের মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়। গতকাল শনিবার চাকরিচ্যুত র্যা ব-১১ এর সাবেক অধিনায়ক লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মাহমুদ ও মেজর আরিফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
তারেক সাঈদ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার মেয়ে জামাই। আর চাকুরিচ্যুত নৌ-বাহিনী কর্মকর্তা লে. কমান্ডার এমএম রানাকে আজ রবিবার গ্রেপ্তার করে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।