বিলুপ্ত হচ্ছে কাতারের বিতর্কিত স্পন্সরশিপ ভিসা

Dubaiবিদেশী শ্রমিকদের রেমিট্যান্স প্রেরণের ক্ষেত্রে অবশেষে সুখবর মিলেছে এক লাখ ৩০ হাজারের বেশি বাংলাদেশী শ্রমিকের কর্মস্থল কাতার থেকে। বিশ্বব্যাপী হইচইয়ের মুখে কাতার সরকার গত ১৪ই মে প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য বিতর্কিত স্পন্সরশিপ ভিসা ব্যবস্থা বিলোপের ঘোষণা দিয়েছে। কাতারে এটা ‘কাফালা’ নামে পরিচিত। এর আওতায় শ্রমিকরা একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির কর্মী হিসেবে কাজ করার লিখিত মুচলেকা দিয়ে বাংলাদেশ থেকে কাতারে ঢুকতে বাধ্য হচ্ছে। এর ফলে সংশ্লিষ্ট কোম্পানি ন্যায্য মজুরি না দিলেও তাদের সম্মতি ছাড়া  কেউ অন্যত্র চাকরি লাভ, এমনকি দেশত্যাগও করতে পারে না।  এখন আইনে সংশোধনী আনবে শূরা কাউন্সিল। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে কাতারি ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা এর প্রতিবাদ করবেন।
কাতারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মানবাধিকার পরিচালক কর্নেল আবদুল্লাহ সাকর আল-মোহান্নদি লন্ডনের দি গার্ডিয়ানকে বলেন, আমরা ‘কাফালা’ ব্যবস্থা বিলোপ করতে যাচ্ছি। কাফালার পরিবর্তে চাকরিদাতা  ও শ্রমিকের মধ্যে একটি চুক্তি হবে। আমরা আশা করি ‘এক্সিট ভিসা’ পুরোপুরি বিলোপ করা হবে।’
দোহা এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা তাদের শ্রম আইনে সংস্কার আনবে। গত ১৪ই মে দোহা থেকে দ্য গার্ডিয়ানের রিপোর্টে বলা হয়, কাতার ২০২২ সালের বিশ্বকাপ ফুটবলের স্বাগতিক দেশ। গার্ডিয়ান একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট করে বলেছিল, কাতারের বিদেশী শ্রমিকরা ‘বিশ্বকাপ ক্রীতদাস’। কারণ বিদেশী শ্রমিকরা তাদের নিজ পছন্দে কাজ ও কর্মক্ষেত্র বেছে নিতে পারে না। গার্ডিয়ান লিখেছে, নতুন আইনে বলা হচ্ছে, কোন চাকরিদাতা কোম্পানি কোন প্রবাসী শ্রমিকের দেশত্যাগে বাধা দিতে চাইলে তাকে ‘বাধ্যকর’ কারণ দেখাতে হবে। কোন বিরোধ দেখা দিলে তা তিন দিনের মধ্যে নিষ্পন্ন করতে হবে। ফিফা সভাপতি সেপ ব্লাটার যিনি কাতারে বিশ্বকাপ ২০২২ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন,  তিনি এই পদক্ষেপকে ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলে বর্ণনা করেছেন।
উল্লেখ্য যে, গত বছর কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকার সেদেশে মাসে ন্যূনতম ৭৫০ কাতারি টাকায় গৃহপরিচারিকা নিয়োগে একটি চুক্তি সই করে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button