‘অবৈধ অভিবাসী’ তরুণদের সেনাবাহিনীতে নেবে যুক্তরাষ্ট্র
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের বৈধ করার পদ্ধতি হিসেবে এক অভিনব উদ্যোগের আশ্রয় নিতে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের আওতায় তরুণ-অবৈধ অভিবাসীদের পর্যাপ্ত আইনী প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মার্কিন সেনাবহিনীতে নিয়োগ দেয়া হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস ও কর্মরত যে সকল তরুণ তাদের শিশু অবস্থায় দেশটিতে এসেছেন এবং ইতোমধ্যে এ দেশে কাজ করে আয় করার অনুমতি পেয়েছেন তারা এ নতুন উদ্যোগে আওতাভুক্ত হবেন।
ইতোপূর্বে ওবামা প্রশাসনের দাক্ষিণ্যে তাদেরকে ‘ডাকা’ নীতিমালার আওতায় নিজ দেশে ফেরৎ পাঠানো বন্ধ করা হয়েছে এবং কাজের অনুমতি দেয়া হয়েছে। ডাকার পূর্ণরূপ ডিফারড অ্যাকশন ফর চাইল্ডহুড অ্যারাইভালস। ডাকা প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৫ লাখ তরুণ অবৈধ-অভিবাসীকে বিশেষ নীতিমালার আওতায় এনে তাদের বর্তমানে প্রাপ্ত সুবিধাদি দেয়া হয়েছিল।
এ সকল অবৈধ তরুণ অভিবাসীদের সেনাবাহিনীতে অন্তর্ভূক্তকরণ সম্পর্কে পেন্টাগনের এক মুখপাত্র মুখ খুলেছেন। তিনি লেফটেনেন্ট কমান্ডার নেইট ক্রিস্টেনসেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের প্রতিরক্ষা বিভাগ মার্কিন নাগরিক নন এমন তরুণদের প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগদান করানোর সবরকম যোগ্যতা ও বৈধতা আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই যাচাই ও বাছাই করে দেখবে।
জানা গেছে, এ বছর মার্কিন প্রশাসন কোন অভিবাসন বিল পাস করবে না। আর এ কারণেই অবৈধ অভিবাসী সংক্রান্ত ত্বরিৎ পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে দেশটি।
উল্লেখ্য, মিলিটারি টাইমসের সূত্রমতে ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৬ হাজার ৭৮১ জন মার্কিন সেনা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মার্কিন মিশন নিয়ে কর্মরত বা যুদ্ধরত অবস্থায় প্রাণ হারিয়েছেন।
নতুন এ উদ্যোগের ফলে হয়ত মার্কিন মায়ের কোল খালি হওয়ার পরিবর্তে অ-মার্কিন মায়ের কোল খালি করার আয়োজন করছে মার্কিন প্রশাসন- এমনটাই মনে করছেন সমালোচকরা।