যুক্তরাজ্যে মশার আতঙ্ক
বিশ্বের উন্নত দেশ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্রমশ বাড়ছে মশার অত্যাচার। যার কারণে যুক্তরাজ্য জুড়ে বেড়েছে ম্যালেরিয়া ও ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের সংক্রমন। সম্প্রতি একদল গবেষকের প্রকাশিত এক রিপোর্টে এতথ্য উঠে এসেছে।
দেশটির উষ্ণ জলবায়ু এবং বাগানগুলোতে থাকা পানির পাত্রকেই মশার বংশবৃদ্ধির জন্য দায়ী করছেন গবেষকরা। যে হারে মশার বংশ বৃদ্ধি হচ্ছে তাতে অল্প দিনের মধ্যেই যুক্তরাজ্যে মশা সৃষ্ট রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যাবে বলেও তারা মনে করছেন।
রিপোর্টটির সহকারী লেখক ও ইউনিভার্সিটি অব রিডিংস স্কুল অব বায়োলজিক্যাল সায়ান্সের সহকারী অধ্যাপক আমান্ডা চ্যাঘান জানান, ‘আমরা জানি মশার বংশবৃদ্ধির জন্য আমাদের শহরগুলোর পরিবেশই দায়ী। শহরের মানুষের জীবন যাপন এবং উষ্ণতার কারণে মশার বংশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। দক্ষিণ ইউরোপে অনেক দেশেই মশার প্রার্দুভাব দেখা দিয়েছে তাই নয় মানুষের প্রতিরোধের উপর ভিত্তি করে মশারাও তাদের চরিত্র পরিবর্তন করছে।’
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, গত ২০১২ সালের গোড়ার দিকে পশ্চিম যুক্তরাজ্যের অনেক স্থানেই পানিশূণ্যতা দেখা যায়। আর এই পানিশূণ্যতা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য স্থানীয়রা বিভিন্ন বড় বড় পাত্রে বৃষ্টি পানি থেকে শুরু করে ভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা পানিও সংরক্ষণ করে রাখে। আর এধরণের পানিতেই মূলত মশার লার্ভার জন্ম হয়। কারণ এই পানি দীর্ঘদিন একই জায়গায় অব্যবহৃত হয়ে থাকে।
শুধু মশার বংশ বৃদ্ধিই হচ্ছে না পাশাপাশি নতুন সব মশাও সৃষ্টি হচ্ছে। গবেষকরা অ্যানোফিলিস মশার নতুন এক প্রজাতি আবিস্কার করেছে পশ্চিম যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন অঞ্চলে। এই মশা ম্যালেরিয়ার রোগের জন্য দায়ী মশার চেয়েও ভয়ংকর। এই মশার মাত্র একটি কামড়েই যেকেউ ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।