১৯৭১-পূর্ব বাংলাদেশী বসতি স্থাপনকারীরা ভারতীয়
ভারতের মেঘালয় হাইকোর্ট এক রায়ে বলেছে, যেসব বাংলাদেশী ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে মেঘালয়ে এসেছেন, তাদের ভারতীয় বিবেচনা করতে হবে এবং ভোটার তালিকায় তাদের নাম অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
বাংলাদেশ থেকে যাওয়া প্রায় ৪০ জন অভিবাসীর আবেদনের প্রেক্ষাপটে আদালত এই ঐতিহাসিক রায় প্রদান করেছে বলে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।
নাগরিকত্ব সন্দেহজনক- একথা জানিয়ে ওইসব অধিবাসীকে জেলা প্রশাসন ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানানোর পর তারা আদালতের শরণাপন্ন হন। ডেপুটি কমিশনার তাদের নাগরিকত্ব সনদপত্রও জব্দ করেছিল।
এসব লোক আসাম সীমান্ত-সংলগ্ন মেঘালয়ের রি-ভোই জেলার আমজং গ্রামে বাস করেন।
বিচারপতি এস আর সেন ১৫ মে তার রায়ে ডেপুটি কমিশনার পূজা পান্ডেকে জব্দ করা সনদপত্র ফেরত দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া আগামী নির্বাচনের আগেই তাদের নাম ভোটার তালিকায় তোলাও নির্দেশ দেয়া হয় ওই রায়ে।
বিচারপতি সেন বলেন, কারা থাকতে পারবেন আর কারা পারবেন না তা নিয়ে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘এটা স্পষ্ট যে আবেদনকারীদের পূর্বপুরুষরা ১৯৭১ সালের ২৪ মার্চের আগে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন। তারা আমজং গ্রামে স্থায়ীভাবে পুনর্বাসনের অধিকার পাওয়ায় এই পর্যায়ে আর তাদের বহিষ্কার করার কোনো প্রশ্নই থাকতে পারে না।’
এসব লোক বাংলাদেশী নাগরিক বলে যে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়ে থাকে, আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেন। বিচারপতি বলেন, এসব লোককে তাড়িয়ে দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি রাজ্য সরকার এবং কেন্দ্রকে তাদের আর বিরক্ত না করারও নির্দেশ দেন। তিনি তাদেরকে যথাযথ পুনর্বাসন করারও নির্দেশ দিয়েছেন।
ইতোপূর্বে রাজ্য সরকার বলেছিল যে আবেদনকারী এবং তাদের পূর্ব পুরুষরা স্থায়ী নাগরিক নন। স্বায়াত্তশাসিত জেলা কাউন্সিল তাদেরকে সাময়িকভাবে পুনর্বাসন করেছিল।
সূত্র : পিটিআই।