সুন্দরবনের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম
শেখ মোহাম্মদ আলী, শরণখোলা: দুই দিন ধরে দাউ দাউ করে জ্বলছে সুন্দরবন। আগুন নেভানোর ব্যাপক চেষ্টা সত্ত্বেও তাপদাহের কারণে ফায়ার কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বুধবার বিকেলে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের গুলিশাখালী টহল ফাঁড়ির বাইশের ছিলা এলাকার বনে আগুন লাগে। তারপর থেকেই বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে গুলিশাখালী টহল ফাঁড়ির বাইশের ছিলা নামক স্থানে বনে আগুন জ্বলে ওঠে। তাৎক্ষণিকভাবে বনরক্ষীরা স্থানীয় জনসাধারণের সহায়তায় আগুন নেভানোর কাজে নেমে পড়েন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা অগ্নিকাণ্ডের স্থলে পৌঁছে চারদিকে ফায়ার লাইন কেটে অদুরের খাল থেকে পানি দিতে থাকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বনরক্ষী জানান, আগুন এক জায়গার নিভলেও অন্য জায়গা থেকে পুনরায় জ্বলে উঠছে। বনের মধ্যে প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ফায়ার কর্মীদের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চাঁদপাই রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ মোবাইল ফোনে বনের প্রায় এক একর জায়গাজুড়ে আগুনের কথা স্বীকার করলেও অগ্নিনির্বাপক কাজে নিয়োজিত মোড়েলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশন কর্মকর্তা মোঃ আরিফুল হক জানান, প্রায় ৭/৮ একর পরিমাণ বনে আগুন জ্বলছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ কর্মীরা সরেজমিনে গিয়ে আগুন জ্বলতে ও ব্যাপক এলাকা নিয়ে ধোয়ার কুণ্ডলী দেখতে পান। বিকেল পর্যন্ত বন বিভাগের কোনো উর্ধতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে যাননি বলে জানা গেছে। সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ আমির হোসেন চৌধুরীর মোবাইলে ফোনে বারবার ফোন করা হলেও তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। সুন্দরবন বিভাগের খুলনাস্থ বন সংরক্ষক (সিএফ) কার্তিক চন্দ্র সরকার মুঠোফোনে বলেন, আগুন দাউদাউ করে না জ্বললেও ধোয়া উড়ছে। এ জন্য বনরক্ষী ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
কাঠুরিয়া ও মৌয়ালীদের বিড়ি সিগারেটের আগুন থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের সূচনা হয়ে হয়ে থাকতে পারে বলে বন বিভাগ মনে করছে।