এক্সেলসিয়র সিলেটের যাত্রা শুরু
জাকারিয়া সিটি ক্রয়ের মাধ্যমে সময়ের তিন বছর পূর্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালুর উদাহরণ সৃষ্টি।
যাত্রা শুরু করেছে এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট। প্রবাসিদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় তিন বছর পূর্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী সিলেটে হযরত শাহপরাণ (রঃ) এর মাজারের নিকটবর্তী খাদিমপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত জাকারিয়া সিটি নিয়ে সাজানো হয়েছে এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট। সিলেটের প্রথম হলিডে রিসোর্ট ও বাংলাদেশের প্রথম ইকো-পার্ক জাকারিয়া সিটি ক্রয়ের পর ১৯ মে ২০১৪ সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এক্সেলসিয়র।
বিনিয়োগকারী এবং অর্ধ-শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে এক্সেলসিয়রের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এসময় ডা: জাকারিয়া হোসাইন আনুষ্ঠানিক ভাবে হোটেলের চাবি এক্সেলসিয়রের কাছে হস্তান্তর করেন। এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন এক্সেলসিয়র সিলেটের চেয়ারম্যান শাহ জামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম, ডাইরেক্টর আব্দুল লতিফ জেপি ও ডা: জাকারিয়া হোসাইন। আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন মার্কেটিং ডাইরেক্টর আহমদ আলী, ডাইরেক্টর ফারুক মিয়া, তোফায়েল মাহমুদ ও সিরাজ খান।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সাউথইস্ট ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়াউস শামস চৌধুরী, সদর উপজেলার সাবেক নির্বাচন অফিসার আলাউদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক বিদ্যুৎ কর্মকর্তা সজলদাস মজুমদার।
বাংলাদেশে ট্যুরিজমের বিকাশে এক্সেলসিয়রের শুভ সূচনাকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন সময়২৪ এর সিনিয়র রিপোর্টার নিজাম উদ্দিন সালেহ, দৈনিক সিলেট সুরমার নির্বাহী সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী দিপু, বাংলা টিভির সিলেট ব্যুরো প্রধান আব্দুল মালিক জাকা, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের পাবলিক রিলেশন অফিসার ও চ্যানেল এস এর ব্যুরো প্রধান মইন উদ্দিন মঞ্জু, টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক ও এটিএন বাংলা’র ব্যুরো প্রধান শাহ মুজিবুর রহমান জকন, এনটিভির রিপোর্টার আনিছ রহমান প্রমুখ।
এক্সেলসিয়র সিলেটের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরী এই প্রকল্পের নান্দনিক ব্যবস্থাপনা তুলে ধরে বলেন, বর্তমানে ত্রি-স্টার এই হোটেল ফাইভ-স্টারে পরণিত করা হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ আবাসন ও বিনোদনের আকর্ষনীয় স্থান জাকারিয়া সিটি নতুন আঙ্গিকে ও বহুবিদ আয়োজনে সাজানো হচ্ছে। ১৭ একর তথা প্রায় ৬০ কেদার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ৫০ হাজার বৃক্ষরাজি শোভিত এই হোটেল ও ইকো-পার্কে দর্শনার্থী ও অতিথিদের জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা। আছে ২০০ ও ৫০০ আসনের কনফারেন্স ও ব্যাঙ্কুইটিং হল। অচিরেই অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ১৫০০ আসনের আরেকটি হল নির্মাণ করা হবে, যাতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা থাকবে। বিয়ে জন্মদিন সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সম্মেলন ইত্যাদি ইভেন্ট আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ এখন এক্সেলসিয়র কনফারেন্স এন্ড ব্যাঙ্কুইটিং হল। থাকছে মেন্যু বৈচিত্র্যে ভরপুর অভিজাত রেস্টুরেন্টে ফিউশন ফুড এবং বাংলাদেশী ও থাইসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মজাদার খাবার। সর্বোপরি রয়েছে প্রাইভেট বুকিং সুবিধা এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-বন্ধু কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ভোজসভায় মিলিত হবার অনন্য সুযোগ।
সাঈদ চৌধুরী আরো বলেন, এক্সেলসিয়রের অতিথিবৃন্দ কেবল স্বাচ্ছন্দ্যময় রাত্রি যাপন কিংবা স্বাস্থ্যকর রকমারি খাদ্য উপভোগের মধ্যেই সীমিত থাকবে না। খেলাধুলা, শরীর চর্চা এবং বিনোদনের ক্ষেত্রেও চমৎকার পরিবেশ উপভোগ করবেন। এছাড়া স্পোর্টস ও লেজার সেন্টারটি সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি দিয়ে। রয়েছে চমৎকার সুইমিং পুল। প্রায় ৪শ’ প্রজাতির ৫০ হাজার বৃক্ষের নয়নাভিরাম দৃশ্য, মনোহর চা-বাগান, অসংখ্য বৃক্ষরাজিতে ছেয়ে থাকা জনপদ ও লোকালয়ের মাঝখানে অবস্থিত এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রির্সোট বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে যে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।