নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা থাই সেনাপ্রধানের
থাইল্যান্ডের সেনাপ্রধান জেনারেল প্রেয়াথ চান-ওচা নিজেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন। সরকার প্রধানের এই পদে স্থায়ীভাবে কাউকে না পাওয়া পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন। শুক্রবার তিনি এই ঘোষণা দেন।
সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পর বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ১০ থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত এই কারফিউ জারি রাখার আদেশ দেন দেশটির সেনাপ্রধান। একইসাথে রাজনৈতিক সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করাসহ নিয়মিত টেলিভিশন প্রোগ্রামগুলোও বন্ধ করে দিয়েছেন। কারফিউ জারি থাকা অবস্থায় সেখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণ নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
ব্যাংককের একজন বাসিন্দা সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণকে সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মতামত দিয়ে বলছিলেন আমি ভালো বোধ করছি যে সব কিছু শৃঙ্খলার মধ্যে আসবে। রেড শার্ট ও ইয়োলো শার্ট অর্থাৎ বিক্ষোভকারিরা ঘরে ফিরে যাবে। আর সাধারণ মানুষও শান্তিতে অফিস ও অন্যান্য কাজ করতে পারবে।
গত কয়েকমাস ধরে অব্যাহত রাজনৈতিক সঙ্কটের পর সেনাবাহিনী মঙ্গলবার সামরিক শাসন জারির ঘোষণা দেয়।
গত বছরের শেষের দিকে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা পার্লামেন্টের নিম্ন-কক্ষ ভেঙে দিলে অস্থিরতা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর কয়েক মাস ধরে ব্যাংককের বিভিন্ন এলাকা দখল করে রাখে বিক্ষোভকারিরা। তবে এই ক্ষমতা দখলের নাটক ভালোভাবে দেখছেন অনেকেই। ব্যাংককের এই বাসিন্দা বলছিলেন এটা সেই পুরোনো জিনিস। তারা এর আগেও ১৭,১৮ বার একই কাজ করেছে।
তিনি বলছিলেন তুমি যদি আমার কাছে জানতে চাও আমি বলবো সেনাবাহিনী একেবারে নির্বোধের মত কাজ করেছে।
সেনাবাহিনীর দেশটির সাবেক প্রধান মন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা, তার কিছু আত্মীয় ও কিছু রাজনৈতিক নেতাদের আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে হাজির হতে বলেছে।
এদিকে থাইল্যান্ডে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা গ্রহণের বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে পশ্চিমা দেশগুলো ও থাইল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশগুলো।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন রাজনৈতিক নেতাদের আটক করা হয়েছে এই খবরে তিনি খুবই উদ্বিগ্ন। এবং তিনি তাদের মুক্তি দাবি করেন। ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপিন্স ও অস্ট্রেলিয়া গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।
আর জাপান, বলছে থাইল্যান্ডে যেন খুব দ্রুত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হয়।