ওআইসিতে সৌদী ভূমিকা শক্তিশালী করার আহ্বান যুবরাজ সালমানের
৫৭টি মুসলিম দেশের সমন্বয় গড়া ইসলামী সম্মেলন সংস্থায় (ওআইসি) সৌদী ভূমিকাকে আরো শক্তিশালী করতে তাদের প্রচেষ্টাকে আরো বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন পবিত্র মসজিদ দ্বয়ের সহকারী খাদেম যুবরাজ সালমান।
ওআইসিতে সৌদি আরবের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ বিন আহমেদ তাইয়েব, ডেনমার্কের জন্য নব নিযুক্ত সৌদী রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ বিন ইব্রাহিম আল-ওয়াকিল, এবং ভেনেজুয়োলার রাষ্ট্রদূত জামাল বিন ইব্রাহিম নাসিফকে স্বাগত জানানোর সময় যুবরাজ সালমান এই মন্তব্য করেন।
এ সময় যুবরাজ সালমান বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে সৌদী সম্পর্ককে আরো সুদৃঢ় করা এবং বিভিন্ন দেশে বসবাসরত সৌদী নাগরিকদের সম্ভাব্য সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য কাজ করতেও রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানান।
আরব নিউজের সাথে এক সাক্ষাতকারে তাইয়েব যুবরাজের নির্দেশিকা সম্পর্কে আনন্দ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, যুবরাজ সালমান আমাদের বিশ্ব দরবারে ইসলামের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত সৌদি আরবের বিশেষ অবস্থান তুলে ধরার অহ্বান জানান।
তাইয়েব বলেন, ওআইসিতে সৌদী মহাসচিব থাকার পরও আরেকজন স্থায়ী প্রতিনিধি নিযুক্ত করার মধ্য দিয়ে প্রমাণিত হয়েছে যে ওআইসিকে সৌদি আরব কতটা গুরুত্ব দেয়। জাতিসংঘের পর ওআইসি হচ্ছে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম আন্তর্জাতিক সংস্থা।
ঐ দূত আরো বলেন, ওআইসি হচ্ছে বিশ্বের দেড়শ কোটি মুসলমানের কণ্ঠস্বর এবং তাদের আশা আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটানোর জন্য এ সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে।
ওআইসি মহাসচিব আইয়াদ মাদানীর প্রশংসা করে তাইয়েব বলেন, তিনি হচ্ছেন, একজন অভিজ্ঞ প্রশাসক, ও প্রজ্ঞাবান নেতা। যিনি এর আগে সৌদী হজ্জ মন্ত্রী এবং তথ্য ও সাংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দয়িত্ব অত্যান্ত যোগ্যতার সাথেই পরিচালনা করেছেন।
তিনি একজন দূরদর্শী নেতা। আমি নিশ্চিত তিনি তার যোগ্যতা ও কাজের আধ্যমে ওআইসিকে উন্নতির এক সুউচ্চ শিখরে পৌঁছে দেবেন।
তিনি আরো বলেন, ওআইসি মহাসচিব ফিলিস্তিন, সিরিয়া, কাশ্মীর, মিয়ানমারের মুসলমান এবং সেন্ট্রাল আফ্রিকা রিপাবলিকানের (সিএআর) সমস্যাগুলোর প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। এ ছাড়াও ওআইসি মুসলিম দেশগুলোর মধ্যকার ঐক্য ও সংহতি সুদৃঢ়করার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে।
আগামী ১৮ ও ১৯ জুন জেদ্দায় ওআইসিভুক্ত দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে এক সম্মেলনের কথা প্রকাশ করেন তিনি। যেখানে প্রধান আলোচ্য বিষয় হিসেবে ফিলিস্তিন, সিরিয়া এবং সিএআর পরিস্থিতি স্থান পাবে।
সর্বশেষ গত ২৫ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৮৯ সালে রিয়াদে এ ধরনের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।