র্যাব এখন গুম-খুন ব্যবসা করছে : খালেদা জিয়া
র্যাব এখন গুম-খুন-ব্যবসা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। বুধবার মুন্সিগঞ্জ শহরের লঞ্চঘাটসংলগ্ন হাটলক্ষ্মীগঞ্জ এলাকায় এক জনসভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।
খালেদা জিয়ার দাবি, গত ৫ জানুয়ারি দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি।ওই দিন নির্বাচনের কেন্দ্রগুলো ছিল ফাঁকা।ভোটকেন্দ্রের সামনে কুকুর পাহারা দিয়েছে।জনগণ ওই নির্বাচন সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে।কারণ, জনগণ সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হলে যাওয়ার কথা বলেছিল।কিন্তু একদলীয় নির্বাচন হওয়ায় জনগণ তা প্রত্যাখ্যান করেছে।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন, এই সংসদ অবৈধ সংসদ।এই সরকার অবৈধ।সংসদের ১৫৩ জন কোনো ভোটে নির্বাচিত হননি।তিনি বলেন, জনগণের টাকায় সংসদ চলে।কিন্তু সেই সংসদে এখন মিথ্যাচার, গালাগালি ছাড়া আর কিছু চলে না।বাংলাদেশে আজ চলছে শুধু সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি আর ছাত্রলীগের দখলদারি।
খালেদা জিয়া বলেন, ক্ষমতায় যাওয়ার পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার একের পর এক গুম-খুন করছে।গুম আর খুন—এই হলো আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড।তিনি অভিযোগ করেন, স্বাধীনতার পর আওয়ামী লীগ রক্ষীবাহিনী সৃষ্টি করেছিল।এখন র্যাবকে দিয়ে একই কাজ করানো হচ্ছে।
তিনি বলেন, র্যাব যদি রাতের বেলায় কারো বাড়িতে কাউকে ধরতে যায়, তাহলে জনগণকে আমি অনুরোধ জানাবো ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ঘেরাও করুন। রাতের বেলায় কোনো বাড়িতে কোনো বাহিনীই কাউকে ধরতে যেতে পারবে না। র্যাব, পুলিশ বা ডিবি রাতের বেলায় কাউকে ধরতে পারবে না। কাউকে ধরতে হলে দিনের বেলায় ধরতে হবে। ধরার পর কোথায় নেওয়া হচ্ছে তার পরিবারকে বাহিনীগুলোকে লিখিতভাবে জানিয়ে আসতে হবে। বাহিনীগুলো অভিযানে গেলে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সঙ্গে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের সুশীল সমাজের কেউ কেউ র্যাবের বিলুপ্তি নয় সংস্কারের পক্ষে কথা বলেন। আমি মনে করি দেশে র্যাবের দরকার নেই। র্যাবের বদলে অন্য কিছু গঠন করা যায়। তাদের দায়িত্ব ভাগ করা থাকবে। তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।
এর আগে খালেদা জিয়া বলেন, এদেশে এখন একটা আতঙ্কের নাম হলো র্যাব। আমরা র্যাব গঠন করেছিলাম একটি বিশেষ কারণে। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনের জন্য আমরা র্যাব গঠন করেছি। আওয়ামী লীগ জঙ্গিদের ধরেনি। আমরা জঙ্গি ধরতে র্যাব গঠন করেছি। র্যাবকে আমরা কোনোদিন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের ধরতে ব্যবহার করিনি।
তিনি বলেন, রাতের আধাঁরে আমরা কোনোদিন কাউকে ধরতে র্যাবকে পাঠাইনি। শীর্ষ জঙ্গি আব্দুর রহমান কার দুলাভাই? সে আওয়ামী লীগ নেতা মীর্জা আজমের দুলাভাই। আমরা র্যাবকে দিয়ে তাকে মারিনি। তাকে পর্যন্ত আমরা জীবিত আটক করেছি। সরকার র্যাবকে নষ্ট করে ফেলেছে। রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে এ সরকার র্যাবকে পঁচিয়ে ফেলেছে।
তিনি বলেন, গার্মেন্টসের একজন শ্রমিক নেতা আমিনুল ইসলামকে গুম করে তার লাশ গায়েব করেছে র্যাব। এটা মেনে নেওয়া হবে না।