মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সিসির বিজয়
মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যাশিত জয় পেয়েছেন সাবেক সেনাপ্রধান আব্দেল ফাত্তা আল সিসি। দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর এটিই প্রথম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বৃহস্পতিবার দিনের শুরুতে প্রকাশিত বেসরকারি ফলাফলে তিনি ৯৩ দশমিক ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বলে বিচার বিভাগীয় সূত্রে জানা গেছে।
নির্বাচনে তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী প্রার্থী হামদিন সাবাহি মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। ৩ দশমিক ৭ শতাংশ ভোট বৈধ না হওয়ায় বাতিল করা হয়েছে।
সমর্থকরা সিসিকে এমন একজন নায়ক হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন যিনি মিশরের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা এনে দিতে পারবেন।
কিন্তু নির্বাচনে জনগণ তেমন সাড়া না দেয়ায় নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হিসেবে সিসির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ব্যাপক গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সাবেক সেনাশাসক হোসনি মুবারকের ৩০ বছরের সেনাশাসন শেষ হওয়ার পর গণতন্ত্রের স্বপ্ন দেখেছিল মিশরীয়রা। দেশের ইতিহাসে স্বপ্নের মতো এক অবাধ নির্বাচনে বেসামরিক প্রেসিডেন্ট পাওয়ার মাধ্যমে সেই স্বপ্নের প্রায় কাছাকাছি চলে গিয়েছিল তারা।
কিন্তু গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত ইসলামপন্থী প্রেসিডেন্ট মুরসির শাসনেও সন্তুষ্ট হতে পারেনি তারা। মাত্র এক বছরেই দেশে নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়।
যার পথ ধরে সামরিক বাহিনী আবার ক্ষমতায় ফেরার পথ করে নেয়, আর কম সংখ্যক ভোটারের উপস্থিতিতে হওয়া নির্বাচনে সিসির নিরঙ্কুশ বিজয়ে সেই ক্ষমতা এখন আইনী বৈধতা পেল।