সাংবাদিক সম্মেলনে এক্সেলসিয়রের নেতৃবৃন্দ

সময়ের তিন বছর পূর্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালুর উদাহরণ সৃষ্টি

Excel2যাত্রা শুরু করেছে এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট। প্রবাসিদের উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মানের এই প্রতিষ্ঠান নির্দিষ্ট সময়ের প্রায় তিন বছর পূর্বে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু করে নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করেছে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর ঐতিহ্যবাহী সিলেটে হযরত শাহপরাণ (রঃ) এর মাজারের নিকটবর্তী খাদিমপাড়ায় প্রতিষ্ঠিত জাকারিয়া সিটি নিয়ে সাজানো হয়েছে এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্ট। সিলেটের প্রথম হলিডে রিসোর্ট ও বাংলাদেশের প্রথম ইকো-পার্ক জাকারিয়া সিটি ক্রয়ের পর ১৯ মে ২০১৪ সোমবার আনুষ্ঠানিক ভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছে এক্সেলসিয়র।
বিনিয়োগকারী এবং অর্ধ-শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারিদের নিয়ে মহান আল্লাহর দরবারে মোনাজাতের মাধ্যমে এক্সেলসিয়রের প্রাতিষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। এসময় ডা: জাকারিয়া হোসাইন আনুষ্ঠানিক ভাবে হোটেলের চাবি এক্সেলসিয়রের কাছে হস্তান্তর করেন।
২৮ মে গত বুধবার বিকেলে পূর্ব লন্ডনের বারাকা ইটারিতে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রকল্পের বিস্তারিত অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন এক্সেলসিয়র সিলেটের চেয়ারম্যান শাহ জামাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরী।
Excelডাইরেক্টরদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গ্রহন করেন আহমদ আলী, ফয়জুল ইসলাম, ইউনুস আলী, মাসুম আহমদ, ফারুক মিয়া, শাহেদ চৌধুরী, আব্দুল বাসিত খান, জিলুৃ মিয়া, মতিন রশিদ খান, আনিছ রহমান, মাসুকুর রহমান, হাসিনা মমতাজ, মস্তাকিন মিয়া, আব্দুল বারী, মনির হোসাইন, মশাহিদ হোসেইন, ওয়াজিদ হাসান সেলিম, কয়সর খান, আনসার খান, সুফি মিয়া, মনির আহমদ। অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আলোচনায় অংশ গ্রহন করেন ওয়াহিদ আলী, আখতার হোসেন কাওসার,  হেলাল আহমদ, আব্দুল হাফিজ প্রমুখ।
Excel3শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন এক্সেলসিয়রের উপদেষ্টা সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপিত ও দৈনিক পুণ্যভূমি সম্পাদক মুক্তাবিস উন নুর, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারপার্সন ও লন্ডন বাংলা সম্পাদক কেএম আবু তাহের চৌধুরী, বিশিষ্ট  লেখক ও গবেষক ড. আবুল লেইছ, সাংবাদিক-কলামিস্ট নজরুল ইসলাম বাসন, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা সম্পাদক এমদাদ চৌধুরী, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বদরুল আলম প্রমুখ।
Excelসাংবাদিক সম্মেলনে প্রকল্পের নান্দনিক পরিবেশ তুলে ধরে বলা হয়, বর্তমানে ত্রি-স্টার এই হোটেল ফাইভ-স্টারে পরণিত করা হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ আবাসন ও বিনোদনের আকর্ষনীয় স্থান জাকারিয়া সিটি নতুন আঙ্গিকে ও বহুবিদ আয়োজনে সাজানো হচ্ছে। ১৭ একর তথা প্রায় ৬০ কেদার জায়গা জুড়ে বিস্তৃত ৫০ হাজার বৃক্ষরাজি শোভিত এই হোটেল ও ইকো-পার্কে দর্শনার্থী ও অতিথিদের জন্য রয়েছে অনেক সুযোগ সুবিধা। আছে ২০০ ও ৫০০ আসনের কনফারেন্স ও ব্যাঙ্কুইটিং হল। অচিরেই অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত ১৫০০ আসনের আরেকটি হল নির্মাণ করা হবে, যাতে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক বসার ব্যবস্থা থাকবে। বিয়ে জন্মদিন সহ বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠান, প্রদর্শনী, সম্মেলন ইত্যাদি ইভেন্ট আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ এখন এক্সেলসিয়র কনফারেন্স এন্ড ব্যাঙ্কুইটিং হল। থাকছে মেন্যু বৈচিত্র্যে ভরপুর অভিজাত রেস্টুরেন্টে ফিউশন ফুড এবং বাংলাদেশী ও থাইসহ এশিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলের মজাদার খাবার। সর্বোপরি রয়েছে প্রাইভেট বুকিং সুবিধা এবং পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-বন্ধু কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক ভোজসভায় মিলিত হবার অনন্য সুযোগ। এক্সেলসিয়রের অতিথিবৃন্দ কেবল স্বাচ্ছন্দ্যময় রাত্রি যাপন কিংবা স্বাস্থ্যকর রকমারি খাদ্য উপভোগের মধ্যেই সীমিত থাকবে না। খেলাধুলা, শরীর চর্চা এবং বিনোদনের ক্ষেত্রেও চমৎকার পরিবেশ উপভোগ করবেন। এছাড়া স্পোর্টস ও লেজার সেন্টারটি সাজানো হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ক্রীড়া সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি দিয়ে। রয়েছে চমৎকার সুইমিং পুল। প্রায় ৪শ’ প্রজাতির ৫০ হাজার বৃক্ষের নয়নাভিরাম দৃশ্য, মনোহর চা-বাগান, অসংখ্য বৃক্ষরাজিতে ছেয়ে থাকা জনপদ ও লোকালয়ের মাঝখানে অবস্থিত এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রির্সোট বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে যে একটি নতুন মাত্রা যোগ করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button