বিজিবি ও মিয়ানমার বাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়
নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে সীমান্তবাসী
বিজিবির কর্মকর্তা ও জওয়ানদের লক্ষ্য করে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর গুলিবর্ষণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের পাল্টা গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার দুপুর ৩টা ৩৫ মিনিট থেকে শুরু হয়ে সন্ধ্যা পৌণে ৬টা পর্যন্ত এ গোলাগুলি চলে। গোলাগুলির সময় মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী ৬০ মিলিমিটার মর্টার, রকেট লাঞ্চারসহ অত্যাধুনিক অস্ত্র-শস্ত্র ব্যবহার করেছে। এদিকে গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের আশপাশে বসবাসকারীরা নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গোলাগুলি থেমে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ পক্ষের সীমান্তের এপারে বিপুলসংখ্যক বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বিজিবির চট্টগ্রাম রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমদ আলী, কঙবাজার সেক্টর কমান্ডার কর্নেল খন্দকার ফরিদ হোসেন এবং নাইক্ষ্যংছড়িস্থ ৩১ ব্যাটেলিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল শফিকুর রহমান সীমান্তের কাছাকাছি এলাকায় অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতির অবনতিতে সীমান্তের আশপাশে বসবাসকারীরা উৎকন্ঠিত হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রশিদ আহমদ জানান, শুক্রবার বিকলের পর থেকে অধিকাংশ মানুষ এলাকা ছেড়ে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, গত ২৮ মে সকালে বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তের এপারে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দোছড়ির আগা পাড়ায় বিজিবি সদস্যরা টহল দেওয়ার সময় মায়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। এতে পাইনছড়া ক্যাম্পের ইনচার্জ নায়েব সুবেদার মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে বিজিপি সদস্যরা তাকে তুলে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যায়। শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে গত ১০ দিনে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে বিজিবির ওপর ৩য় দফা হামলার ঘটনা ঘটল।